আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের হোটেলে চুরি


প্রকাশিত: ০২:০১ পিএম, ০১ আগস্ট ২০১৬

ফু্টবলে দুর্দিন কাটছেই না আর্জেন্টিনার। ২৩ বছর ধরে কোন শিরোপা নেই। টানা তিনটি আসরের ফাইনালে উঠেও আক্ষেপটা কাটাতে পারলো না লিওনেল মেসিরা। জাতীয় দলের সাফল্য না থাকলেও আর্জেন্টিনা অলিম্পিক ফুটবল দল কিন্তু ২০০৪ এবং ২০০৮ অলিম্পিকের সোনা উপহার দিয়েছিল দেশকে। সে ধারাবাহিকতায় এবারও রিও অলিম্পিক থেকে স্বর্ণ জয়ের আশা করতেই পারে মেসি-ম্যারাডোনার দেশ।

তবে তার আগে কিছুটা হলেও মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার জোগাড় হয়েছে আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের। কারণ, অলিম্পিকে যাওয়ার আগে মেক্সিকোয় প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা অলিম্পিক ফুটবল দল। শুক্রবারই ছিল শেষ ম্যাচ। মেক্সিকোর সঙ্গে সেই ম্যাচ গোলশূন্য ড্রতেই শেষ হয় আর্জেন্টিনার।

এরপর আর্জেন্টিনা এবং মেক্সিকো দু’দেশেরই উড়ে যাওয়ার কথা রিওতে; কিন্তু ম্যাচ শেষে হোটেলে ফিরে আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের তো চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। তারা দেখলেন ঘর থেকে খোয়া গেলো অনেক মূল্যবান জিনিস।

আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশনের সহসভাপতি ক্লডিও তাপিয়া বলেন, ‘আমরা খেলা শেষে রাত ১১.৪০-এ হোটেলে ফিরি। হোটেলে সবাই যে যার ঘরে চলে যাই। তারপরই সবাই লক্ষ্য করে ঘর থেকে খোয়া গিয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান জিনিস। সব থেকে যেটা অবাক করেছে, সেটা হল হোটেল কর্তৃপক্ষ সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখেছে কে চোর; কিন্তু তারা তাকে সামনে আনছে না।’

অলিম্পিকে যাওয়ার আগে এই ঘটনায় স্বভাবতই হতাশ আর্জেন্টিনা শিবির। টাকা-পয়সার সঙ্গে খোয়া গেছে একাধিক ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসও। তবে টাকার পরিমান কত সেটা পরিষ্কার করে জানায়নি আর্জেন্টিনা শিবির।

পাশাপাশি আর্জেন্টিনা ফুটবল দল ক্ষোভ দেখিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও হোটেলের ব্যবহার নিয়েও। তাপিয়া বলেন, ‘যখন আমরা চুরির রিপোর্ট লেখাতে যাই তখনও আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়। অসম্মান করা হয়। যতক্ষণ না পুরো ব্যাপারটি মিটছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা মেক্সিকো ছেড়ে যাব না। ইন্সিওরেন্স সংস্থা বা মেক্সিকো ফুটবল ফেডারেশনকে লিখিতভাবে জানাতে হবে আমাদের যা খোয়া গিয়েছে তা ফেরৎ পাব।’

আইএইচএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।