ঔষধ রপ্তানিতে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে


প্রকাশিত: ১১:০৭ এএম, ০৮ জানুয়ারি ২০১৫

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, দেশের ঔষধ শিল্পকে অন্যতম প্রধান রপ্তানি পণ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সরকারের ৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা মোতাবেক নতুন নতুন রপ্তানি পণ্য উদ্ভাবন এবং নতুন নতুন রপ্তানি বাজার সৃষ্টির জন্য কাজ চলছে। সে মোতাবেক দেশের তৈরী পোশাকের পাশাপাশি ঔষধ, চামড়া, জাহাজ ও আইসিটি রপ্তানির জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ বাংলাদেশের তৈরী ঔষধ আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ সুযোগকে কাজ লাগাতে হবে।

বৃহস্পতিবার ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতি আয়োজিত তিন দিনব্যাপী “এশিয়া ফার্মা এক্সপো-২০১৫”-এর উদ্বোধন করে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতি মজবুত করতে এবং দেশকে এগিয়ে নিতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। ঔষধ রপ্তানির ক্ষেত্রে রপ্তানি কারকদের উৎসাহিত করতে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশের ঔষধ শিল্পকে আন্তর্জাতিক মানের করতে সরকার চাহিদা মোতাবেক সবধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ঔষধ শিল্প বিশ্ববাজারে আস্থা অর্জন করেছে। বাংলাদেশের উৎপাদিত ঔষধ এ পর্যন্ত বিশ্বের ৯০টি দেশে রপ্তানির জন্য অনুমোদন প্রাপ্ত হয়েছে। এর ফলে ঔষধ রপ্তানির ক্ষেত্রে বিপুল সম্ভাবনার সৃষ্ঠি হয়েছে। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, দেশের রপ্তানিমূখী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎসাহিত করতে সরকার প্রয়োজনীয় চাহিদা মোতাবেক সবধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। শুল্ক কমানো, নিরাপদ শিল্প কারখায় ব্যবহারের জন্য ফায়ার সেফটি ডোর এবং এ সংক্রান্ত  যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক তুলে দেওয়া হয়েছে। সরকার দেশের অর্থনীতিকে একটি শক্তভিত্তির উপর দাঁড় করাতে আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। একসময় যারা বাংলাদেশকে বলতেন, তলাবিহীন ঝুড়ি, আজ তারাই বলছেন, বাংলাদেশ মিরাক্কেল।
 
বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির সভাপতি সালমান এফ রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মল্লিক, বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির মহাসচিব আব্দুল মুক্তাদির।

উল্লেখ্য, তিন দিনব্যাপী “এশিয়া ফার্মা এক্সপো-২০১৫”-তে বাংলাদেশ, ভারত, চায়না, কোরিয়া, থাইল্যান্ডসহ ৩০টি দেশের ৪৫০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধা ৬টা পর্যন্ত এক্সপো খোলা থাকবে। এক্সপো চলবে আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।