সাকলাইন-রনির নতুন যাত্রা


প্রকাশিত: ০১:৩৭ পিএম, ১৬ জুলাই ২০১৬

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে সর্বশেষ সংযোজন আবু হায়দার রনি এবং সাকলাইন সজীব। দারুণ মিল রয়েছে এই দুই বোলারের মধ্যে। দুজনই বাঁ-হাতি বোলার। তবে অমিলটা বড়। সাকলাইন করেন স্পিন আর রনি হলেন পেসার। মিল আছে আরও একটি বিষয়ে। দুজনই বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণ টি-টোয়েন্টিতে। যদিও এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নবীন দুজনই। রনি পাঁচ ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলেও সাকলাইন পেয়েছেন মাত্র একটি ম্যাচ। তাতে কি? আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে দুজনেরই।

নিজেদের মধ্যে মিলের কারণে হয়তো ইংল্যান্ড সিরিজে ঘোষিত প্রাথমিক তালিকায় বাংলাদেশের কন্ডিশনিং ক্যাম্পে ডাক পাননি রনি-সাকলাইন কেউই। তারপরও নিজেদের ভাগ্যবান ভাবতে পারেন তারা দুজন। নবীন খেলোয়াড়দের ভিড়ে বিসিবির হাইপারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটে ডাক পেয়েছেন তারা। সুতরাং নির্বাচকদের দৃষ্টিতেই রয়েছেন সাকলাইন এবং রনি।

শনিবার জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে উভয়ই জানালেন এইচপি ক্যাম্পে ডাক পাওয়ার অনুভূতির কথা। জাতীয় দলের খেলার পর নতুনদের সঙ্গে এ ক্যাম্পে ডাক পাওয়াকে কীভাবে দেখেছেন তারা?

সাকলাইন সজীবের কাছে দুটি বিষয়ে তেমন পার্থক্য নেই। অনুশীলনে থাকাই মূল লক্ষ্য। সেটা পেয়েই খুশি তিনি, ‘হ্যাঁ এখানে নতুনরাই বেশি। এখন এইচপি বলেন আর কন্ডিশনিং- মূল ব্যাপার হচ্ছে অনুশীলনে থাকা। আমি এখানে সে সুযোগটা পেয়েছি। আশা করি সবার সঙ্গে সহজেই মানিয়ে নিতে পারবো। কারণ এদের সঙ্গে আগেও খেলেছি।’

ভারতে অনুষ্ঠিত গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাঝপথে স্পিনার আরাফাত সানির বোলিং অ্যাকশন নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে হঠাৎ করেই জাতীয় দলে খেলার সুযোগ মেলে সাকলাইন সজীবের। এমনকি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামারও সুযোগ পেয়ে যান তিনি। যদিও নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি। তবে বিশ্বকাপ থেকে ফিরে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে আবাহনীর হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে বুঝিয়ে দিয়েছেন- একটি ম্যাচ দিয়েই একজন খেলোয়াড়কে বিচার করা ঠিক নয়। এবারের লিগে ২৬টি উইকেট নিয়ে তৃতীয় সেরা হয়েছে বোলার সাকলাইন।

ক্যারিয়ারের এ পর্যায়ে এইচপি ক্যাম্পে ডাক পেয়ে কি ভাবছেন? লক্ষ্যটা কি থাকবে? এমন প্রশ্নে সাকলাইন বলেন, ‘এখানে নতুন কোচ আসবে, হয়তো নতুন কিছু শিখতে পারবো। এখান থেকে সর্বোচ্চটা শিখে নেওয়াই আমার প্রধান লক্ষ্য। ব্যক্তিগতভাবে আমার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ভালো হচ্ছে, হয়তো বিশ্বকাপে ওইভাবে হয়নি। এই ক্যাম্প থেকে আশা করি ভুল যা আছে, শোধরাতে পারবো। চেষ্টা করবো এখানে ভালো করেই আবার জাতীয় দলে ফিরে আসার।’

নতুনদের ভিড়ে জাতীয় দলে খেলা আবু হায়দার রনিও বলছেন প্রায় একই কথা। তার কাছেও মূল লক্ষ্য- ক্রিকেটে থাকা, অনুশীলনে থাকা, ‘এখানে আসলে আমার যে দুর্বলতাগুলো আছে, তা নিয়ে কাজ করবো। এখানে কে আছে বা কারা আছে- তা নিয়ে ভাবছি না। আমার কাজ হচ্ছে, নিজের কাজগুলো ঠিকভাবে করে যাওয়া। মূল কথা- অনুশীলনের পরিবেশ। আমি তা পেয়েছি। চেষ্টা করবো দুর্বল দিকগুলো এখান থেকেই মিটিয়ে ফেলতে।’

গত নভেম্বরে বিপিএলে দুর্দান্ত বোলিং করার কারণে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ডাক পেয়ে যান রনি। ওই সিরিজে দুটি ম্যাচ খেলার সুযোগও পান। অভিষেকেই দুই উইকেট নেয়ার পরের ম্যাচেও পান একটি উইকেট। ফলে বিশ্বকাপের দলেও জায়গা পেয়ে যান এ তরুণ তুর্কি; কিন্তু বিশ্বকাপটা সে অর্থে ভালো যায়নি। তিন ম্যাচ খেলে উইকেটশুন্য থেকেই দেশে ফিরতে হয়েছে তাকে। ফলশ্রুতিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রাথমিক দলে জায়গা হারিয়ে ফেলেন তিনি।

এইচপি ক্যাম্পে অধিকাংশ ক্রিককেটারকেই বাংলাদেশের বয়স ভিত্তিক বিভিন্ন পর্যায় থেকে বাছাই করে আনা হয়েছে। যাদের সঙ্গে অনেকটা সময় খেলেছেন রনি। তাই তাদের সঙ্গে অনুশীলনের সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত এ পেসার, ‘দেখেন এরা হয়তো সবাই নতুন, এটা আপনি দেখছেন। এদের সাথেই কিন্তু আমি সবসময় খেলে এসেছি। বয়স ভিত্তিক ম্যাচ থেকে প্রিমিয়ার লিগ, বিপিএল, জাতীয় লিগ সব জায়গায়। তাই আবার ওদের সঙ্গে একসাথে খেলার সুযোগ পেয়ে আমি খুব খুশি।’

আরটি/আইএইচএস/এবিএসিএমএফ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।