‘ফিরে এসো মেসি’


প্রকাশিত: ০৫:২৩ এএম, ০৪ জুলাই ২০১৬

‘ফিরে এসো মেসি’ এমন রব আজ পুরো বিশ্বে। উদ্দেশ্য ছিল লাখো মানুষের একসঙ্গে জড়ো হওয়া কিন্তু প্রবল বৃষ্টি সেটিতে বাধা সৃষ্টি করে। কিন্তু তবুও মেসিপাগল মানুষ নেমে এসেছিল বুয়েন্স আয়ার্সের রাস্তায়। একটাই কথা তাদের, ‘ফিরে এসো মেসি, আমাদের ছেড়ে যেও না’। চিলির বিপক্ষে শতবর্ষী কোপা আমেরিকার ফাইনালে টাইব্রেকারে হেরে অনেকটা হতাশ হয়েই নিজের অবসরের কথা জানান মেসি। তার এমন সিদ্ধান্ত পুরো ফুটবল বিশ্বে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

মেসিকে ফেরাতে এর আগে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনাও অনুরোধ করেছেন। পাশাপাশি আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা তো আছেনই। এবার সমর্থকরাও মেসিকে ফেরাতে রাস্তায় নামলেন। প্রিয় তারকার মান ভাঙাতে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, রাজধানী বুয়েনস আয়ার্সে বিশাল র‌্যালির আয়োজন করে আর্জেন্টাইন ফুটবলপ্রেমীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলে এর প্রচারণা। এতে অংশ নিতে লাখো সমর্থক তাদের সমর্থন জানান। ক্রীড়াব্যক্তিত্ব, শিল্পী ও রাজনীতিবিদরাও মেসিকে ফিরে আসার আহ্বান জানান। রাস্তায় বিলবোর্ড, ট্রাফিক সিগন্যালগুলোতেও শোভা পায় ‘হ্যাশট্যাগ নোতেভায়াসলিও’। যার অর্থ, ‘ডোন্ট গো, লিও’।

বৃষ্টি উপেক্ষা করেই নানা পেশার মানুষ ওবেলিসকো মনুমেন্টের সামনে জড়ো হয়। হার্নান সানচেজ নামক এক মেসিভক্ত এক পর্যায়ে বলেন, ‘আর্জেন্টিনা ও আন্তর্জাতিক ফুটবল ইতিহাসে মেসিই সেরা খেলোয়াড়। পরবর্তী হাজার বছরে আমরা তার মতো কাউকে দেখতে পারব বলে আমি মনে করি না।’

Messi

বাদ ছিল না ফেরিওয়ালারাও। মেসির ছবি সংবলিত টি-শার্ট হাতে নিয়ে পুরো এলাকা ঘোরেন। যাতে লেখা। ‘লিও আমাদের ছেড়ে যেয়ো না।’

র‌্যালি চলাকালীন একজন জাতীয় পতাকায় তুলে ধরেন, ‘মেসির প্রতি আমার বিশ্বাস আছে।’ আরেকজনকে দেখা যায়, ‘লিও ডোন্ট লিভ’ লেখা জাতীয় পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে আছেন। আবার এক পাগল ভক্ততো বলেই ফেললেন, ‘মেসির মত ফুটবলার ৫০০ বছরে একজন আসে। তার খেলা আমরা মিস করতে চাই না।’

অসংখ্য মানুষের অংশগ্রহণের এই গণসমাবেশের সময় অবশ্য দেশে ছিলেন না মেসি। ছুটি কাটাতে পরিবারের সঙ্গে দেশের বাইরে রয়েছেন পাঁচবারের বর্ষসেরা এই ফুটবলার।

Messi

আরআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।