তবুও আশাবাদী পাপন


প্রকাশিত: ০২:৩৭ পিএম, ০৩ জুলাই ২০১৬
ফাইল ছবি

গুলশানে সন্ত্রাসী হামলার কারণে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড সিরিজ আয়োজনের আগে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে ইংল্যান্ড। দেশের সরকারের কাছ থেকে সবুজ সংকেত না পেলে আসবে তারা। আগের দিনই জানিয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। কিন্তু তারপরও সিরিজটি হবে এমনটাই আশা করছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নাজমুল হাসান পাপন।

আইসিসির বার্ষিক সভা শেষে রোববার দেশে ফিরে নিজ বাসভবনে পাপন বলেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে ইংল্যান্ড যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে সেটা আমি দেখেছি। তাদের এই প্রতিক্রিয়া খুবই সাধারণ। আমরা যদি ওদের জায়গায় থাকতাম একই জিনিস করতাম। এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ দুটি ব্যাপার আছে। প্যারিসে যে আক্রমণ হয়েছে তারপর কিন্তু ওখানে খেলাধুলা বন্ধ হয়ে যায়নি। খেলা তার নিজস্ব গতিতেই চলবে আমি বিশ্বাস করি। এছাড়া ইংল্যান্ড সিরিজ হতে এখনো তিন মাস বাকি। এই লম্বা সময়ে বাংলাদেশের এই পরিস্থিতি থাকবে না।’

শুধু ইংল্যান্ড নয়, ভয়াবহ এ রক্তক্ষয়ী হামলায় বিদেশি নাগরিকদের নাগরিক নিহত হয়েছেন, তাতে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন পুরো বিশ্ব। দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ২০ জন সাধারণ নাগরিক নিহত হয় এ হামলায়। তবে এর আগে ফ্রান্স, বেলজিয়াম ও তুরস্কের মত উন্নত দেশেও এমন আক্রমণ হয়েছে। তাই পৃথিবীর কোন দেশই শতভাগ নিরাপদ নয় বলে মনে করেন পাপন। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারলে খেলা বন্ধ হওয়ার কোন সুযোগ নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

‘নিরাপদ কোন জায়গা এটা বলা খুব মুশকিল। ইংল্যান্ডও তিন মাস পরে নিরাপদ না হতে পারে। এটা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারে না। পরিস্থিতি যাই হোক আমি সব সময় যেটা বলে আসছি আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে জোরদার করতে হবে। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারলে যে কোন দেশেই খেলা বন্ধ হওয়ার কোন সুযোগ নেই। ’

ন্যক্কারজনক এ ঘটনার সময় আইসিসির সভার জন্য স্কটল্যান্ডে ছিলেন পাপন। সেখানেই জেনেছেন এ বর্বর হামলার কথা। এমন ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না তিনি। ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে সকল নিহতদের প্রতি সমবেদনাও জানান বিসিবি প্রধান।

আরটি/জেএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।