মেরিনার্সের সামনে ইতিহাস গড়ার হাতছানি!


প্রকাশিত: ০২:১৯ পিএম, ৩০ জুন ২০১৬

হঠাৎই পাল্টে গেছে মতিঝিল আরামবাগ ক্লাব পাড়ার মেরিনার ইয়াংস ক্লাব ভবনের চেহারা। সাজ সাজ রব! উৎসব আমেজ। হকি লিগে প্রথমবার শিরোপার গন্ধ পাচ্ছে মেরিনার। শিরোপার খুব কাছেই অবস্থান। চ্যাম্পিয়ন হতে দরকার আর মোটে এক পয়েন্ট।

শুক্রবার উষা ক্রীড়া চক্রর সাথে ড্র করতে পারলেই ঢাকা হকি লিগে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হবে মেরিনার ইয়াংস। এর আগে ২০০৬ ও ২০১০ সালে দুবার রানার্সআপ হবার রেকর্ড আছে। কিন্তু চ্যাম্পিয়নশীপ অধরাই থেকে গেছে। এবার কি সে অধরা সাফল্যর নাগাল পাবে মেরিনার ? না তৃতীয় বারের মত রানার্সআপ হয়েই তুষ্ট থাকবে ? নাকি মেরিনারের স্বপ্ন ভেঙ্গে পঞ্চম বারের মত লিগ ট্রফি ঘরে তুলবে পুরোন ঢাকার উষা ক্রীড়া চক্র ?

আগের ম্যাচে ঐতিহ্যবাহি মোহামেডানের কাছে ৫-৩ গোলের হার শিরোপা দৌড় থেকে খানিক পিছিয়ে দিয়েছে মামুন-কামাল শিষ্যদের। এতে করে উষার সংগ্রহ দাড়িয়েছে ১৫ খেলায় ৩৮। আর আবাহনীকে হারানো গেরহার্ড শিষ্যদের পয়েন্ট সমান খেলায় ৪০। কাজেই ড্র করলে চলবেনা। চ্যাম্পিয়ন হতে জয় ভিন্ন পথ নেই উষার। শুক্রবার বিকেলে জয় পেলে ২০০৪, ২০০৬, ২০০৮ ও ২০১০ সালের পর আবার শিরোপা উঠবে উষার ঘরে।

দু দলেই আছেন দেশ-বিদেশের বেশ ক’জন দক্ষ খেলোয়াড়। উষার কথা মনে উঠলেই কয়েকটি নাম চলে আসে সবার আগে।  পাকিস্তানী আলিম বেলাল (পেনাল্টি কর্নার স্পেশালিষ্ট), গেমমেকার অধিনায়ক সারোয়ার হোসেন, ফরোয়ার্ডে কৃষ্ণ কুমার , পুষ্কর খিশা মিমো ও হাসান জুবায়ের নিলয় উষার চালিকাশক্তি।  

অন্যদিকে দেশের দুই অন্যতম সেরা পেনাল্টি কর্নার বিশেষজ্ঞ মামুনুর রহমান চয়ন,  আশরাফুল ইসলাম মেরিনার্সের বড় সম্পদ। সঙ্গে এবারের সেনসেশন আরশাদ, ফরোয়ার্ড মইনুল ইসলাম কৌশিক, পাকিস্তানী ফরোয়ার্ড ওয়াকাস শরিফ, চেক ডিফেন্ডার টমাস পুচাসকার সন্মিলনে এবার বেশ উজ্জীবিত মেরিনার শিবির।

মেরিানার্সের জার্মান  কোচ গেরহার্ড পিটার শিরোপা স্বপ্নে বিভোর। তার বিশ্বাস, এতদুর এসে ছেলেরা শিরেপা হাতছাড়া করতে চায়না। তাইতো মুখে এমন কথা, ‘আমাদের টিম স্পিরিট তুঙ্গে, আমি খেলোয়াড়দের চোখে দেখি শিরোপা জয়ের নেশা। ছেলেরা সাফল্য পেতে উন্মুখ। আমি প্রাকটিস সিডিঊল না দিলেও তারা মাঠে এসে নিজেরাই অনুশীলনে নেমে পড়ছে। এমন আন্তরিক ও সাফল্য পেতে দৃঢ় সংকল্প যে দল, তাদের কাছে  শিরোপা আসবেনা আমি তা ভাবতে পারিনা। আমি টিমওয়ার্কে বিশ্বাস করি। আর তার প্রমাণ আমি রেখেছি, সম্ভবত আমার দলের স্কোরারের সংখ্যা লিগে সবচেয়ে বেশি।’

প্রতিপক্ষ উষাকে ভাল দল বলে অভিহিত করে গেরহার্ড বলেন, ‘দলটি মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রন নিতে চায়। আর পেনাল্টি কর্ণার আদায়েও বেশি মনযোগী।’

আগের ম্যাচে মোহামেডানের কাছে হার অবশ্যই বড় আঘাত। তারপরও উষা কোচ মামুনুর রশিদ বিচলিত ও হতোদ্যম হতে নারাজ। তার কথা, ‘গত ম্যচের পরাজয়ে মন ভাঙ্গার কিছু নেই। আমি খুব বড় করে দেখতে চাইনা। বড় লিগে এক পর্যায়ে অবসাদ ও একঘেয়েমি চলে আসে। সে কারনেই হয়ত ১৫ নম্বর খেলায় এসে প্রথম পরাজয়ের স্বাদ নিয়েছে আমার দল।  কিন্তু তাতে বেশি ক্ষতি হয়নি, আমাদের প্রযোজন একটি জয়। আমার বিশ্বাস জেতার সামর্থ্য আমাদের আছে। ’

মামুন অমন কথা বলতেই পারেন। কারন ইতিহাস তার পক্ষে। প্রথম পর্বে মেরিনারকে ৪-১ গোলে হারিয়েছিল উষা।
 
এআরবি/আরআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।