ছয় মাসের বিরতিতে হতাশ তামিম


প্রকাশিত: ১২:০৯ পিএম, ২৯ জুন ২০১৬

গত মার্চে ভারতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। এরপর আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ নেই টাইগারদের। মাঝের এই ছয় মাসের দীর্ঘ বিরতিতে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল খান। এছাড়াও অন্যান্য ক্রিকেট জাতিদের বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

ক্রিকেটের অন্যতম জনপ্রিয় পোর্টাল ক্রিকইনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, ‘এতো চমৎকার একটা মৌসুম শেষে ছয় মাস আমরা ক্রিকেট খেলছি না। এটা অবশ্যই আমাদের ক্রিকেটকে ক্ষতি করবে। সবার আমাদের বিপক্ষে খেলার আগ্রহ দেখানোর প্রয়োজন, পক্ষান্তরে আমরা সাইডলাইনে বসে আছি। আমরা জানি না ছয় মাস পর আমরা কেমন ক্রিকেট খেলবো। জিম্বাবুয়ে ছাড়া আর কোন দল এতো দিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে থাকে না।’

বাংলাদেশের পরবর্তী ক্রিকেট সিরিজ ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। তবে এর আগে আগস্টে ভারতের বিপক্ষে একটি টেস্ট হবার কথা থাকলেও সে পর্যন্ত তা আলোচনাতেই সীমাবদ্ধ থাকে। এছাড়াও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলংকার সঙ্গে সিরিজ আয়োজনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

তামিমের মতে, স্বপ্নের মত কাটানো ২০১৫ সালের পর এতো অপেক্ষা করা হতাশাজনক। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে বিদায় করে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। এরপর পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মত বড় দেশগুলোর বিপক্ষে ধারাবাহিকভাবে সিরিজ জয় পায় টাইগাররা। সে সুবাদে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে জায়গা করে বাংলাদেশ। কিন্তু এরপরও বড় দলগুলো বাংলাদেশের সঙ্গে খেলতে না চাওয়ায় অবাক হন তামিম।  

‘ছয় মাস বসে থাকা কোনভাবেই সঠিক বিচার নয়। যদি আমাদের ক্রিকেট আরও পাঁচ বছর আগের অবস্থানে থাকতো যখন আগে থেকেই ম্যাচের ফলাফল বলে দেওয়া যেত তাহলে মেনে নিতাম। কিন্তু এতো ভালো পারফরম করার পর তারা আমাদের বিপক্ষে খেলতে চায়না। আমি কিছু জানি না।’

‘যে কোন বড় দলকে নেন এবং তাদের বলেন ছয় মাস বসে থাকতে। আপনি দেখবেন আট মাস পর তারা কেমন পারফরম করেন। তারা যেভাবে খেলছিল সেভাবে খেলতে পারবে না।’

আরটি/আরআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।