তামিমের লাখ টাকা জরিমানা


প্রকাশিত: ১০:৩৬ এএম, ২২ জুন ২০১৬

শাস্তির মুখে পড়ছেন তামিম- এটা ছিল অনিবার্য। আগেরদিনই জাগোনিউজ এ সম্পর্কে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেটাই সত্যি হলো। বিকেএসপিতে প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে ম্যাচের সময় আম্পায়ারদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার কারণে তামিম ইকবালকে ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

১২ জুন বিকেএসপিতে অনুষ্ঠিত আবাহনী এবং প্রাইম দোলেশ্বরের ম্যাচটি তামিমের দুর্ব্যবহারের ফলে স্থগিত হয়ে যায়। ওই ম্যাচটি নিষ্পন্ন করতে বিসিবির বোর্ড মিটিংয়ে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে দেয়া হয়। আম্পায়ার্স কমিটি থেকে নাজমুল করিম টিংকু, রেফারিজ কমিটি থেকে রকিবুল হাসান, ট্যাকনিক্যাল কমিটি থেকে আতহার আলী খান এবং ডিসিপ্লিনারি কমিটি থেকে শেখ সোহেলকে নিয় গঠন করা হয় এই কমিটি।

মঙ্গলবার এই কমিটি প্রথম বৈঠকে বসে তামিম ইকবালসহ ম্যাচ রেফারিকে শুনানি করে। এরপরই জানানো হয়, তামিম ইকবালের বিপক্ষে আবারও রিপোর্ট দেয়া হয়েছে। তামিম নিজেও সেই ম্যাচে দুর্ব্যবহার করার কথা স্বীকার করে নেন। বলেছিলেন, আবেগের বশতঃ এই কাজ করে ফেলেছিলেন। তখনই জানা যায়, অনিবার্য শাস্তির মুখে রয়েছেন তিনি।

বিসিবি সভাপতির বেধে দেয়া ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দেয়ার লক্ষ্যে আজ আবারও বৈঠক করে ওই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণে গঠিত কমিটি। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, তামিমের এক লাখ টাকা জরিমানা এবং এক ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাকে। একই সঙ্গে স্থগিত হয়ে যাওয়া ম্যাচটি আবারও অনুষ্ঠিত হবে। ওই ম্যাচে বাজে আচরণের জন্য প্রাইম দোলেশ্বরের ক্রিকেটার নাসির হোসেনকেও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

১২ জুন বিকেএসপিতে সুপার লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় আবাহনী এবং প্রাইম দোলেশ্বর। ওই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১৯১ রানে অলআউট হয়ে যায় আবাহনী। ১৯২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে বসে দোলেশ্বর।

ঘটনার সময় খেলা চলছিল দোলেশ্বরের ইনিংসের ১৫.৪ ওভারের। বোলার সাকলাইন সজীবের বলে ব্যাট করছিলেন রকিবুল হাসান। এ সময় একটি স্ট্যাম্পিংয়ের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে আবাহনী শিবির। আম্পায়ারদের সে সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি তামিম। ফিল্ড আম্পায়ার গাজী সোহেল ও তানভির হায়দারকে প্রকাশ্যে গালিগালাজ করেন তামিমসহ আবাহনীর সমর্থকরা।

এরপর আরও এক ওভার খেলা চললেও গালি অব্যাহত রাখলে এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে খেলা বন্ধ রেখে মাঠের বাইরে চলে আসেন আম্পায়াররা এবং ম্যাচ রেফারির সঙ্গে কথা বলে মাঠ ছাড়েন তারা। যদিও পরে সিসিডিএমের কাছে দেয়া রিপোর্টে ম্যাচ রেফারি মন্টু দত্ত্ব তামিমের কোন কথাই উল্লেখ করেননি। লিখেছিলেন, আম্পায়ারদের অসুস্থতার কারণেই ম্যাচটি আর পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না।

পরিস্থিতির জটিলতায়, সিসিডিএম বিষয়টা ঠেলে দেয় বিসিবির কোর্টে। সর্বশেষ ১৯ জুন বিসিবির কার্য নির্বাহী কমিটির সভায় চার সদস্যের কমিটি গঠন করে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিসিবি সভাপতির কাছে সুপারিশ জমা দেয়া হয়।

আরআর/জেএইচ/আইএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।