আবাহনীর মিরপুর জয়


প্রকাশিত: ১০:৩৭ এএম, ১৮ জুন ২০১৬

অবশেষে জুজু কাটিয়ে উঠলো আবাহনী লিমিটেড। চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টানা তিন ম্যাচ হারার পর জয় পেয়েছে আবাহনী। ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে সহজ জয় তুলে শিরোপার দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলো তারা। বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পর তামিম ইকবাল ও লিটন কুমার দাসের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ছয় উইকেটের জয় পায় ঐতিহ্যবাহী দলটি। ১৪ ম্যাচে এটা আবাহনীর নবম জয়।

শনিবার টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে ভিক্টোরিয়া। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। দলীয় ২৫ রানে প্রথম উইকেট হিসাবে ফজলে মাহমুদকে বিদায় করেন তাসকিন। এরপর টানা তিনটি উইকেট তুলে ভিক্টোরিয়ার ব্যাটিং স্তম্ভ ভেঙ্গে দেন সাকিব আল হাসান। এরপর আরেক স্পিনার সাকলাইন সজীবের আঘাতে অল্প রানেই গুটিয়ে যায় ভিক্টোরিয়া।

শেষ পর্যন্ত ১৩ ওভার ৪ বল বাকি থাকতেই ১৩৯ রানে অলআউট হয়ে যায় ভিক্টোরিয়া। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৩ রান করেন মুমিনুল হক। আবাহনীর পক্ষে মাত্র ১৩ রান ৩টি উইকেট পান সাকলাইন সজীব। এছাড়া সাকিব ২৮ ও তাসকিন ৩০ রানে ৩টি করে উইকেট নেন।

এদিন ২১ রানে দারুণ ব্যাটিং করছিলেন সোহরাওয়ার্দি শুভ। তাসকিনের করা ইনিংসের ২৫তম ওভারের তৃতীয় বলটি মাথার নিচের ডান কানের পিছনের দিকে বিপজ্জনকভাবে আঘাত লাগে। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি লুটিয়ে পড়েন তিনি। এরপর বিসিবির কর্মরত ডাক্তাররা তাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দ্রুতই তাকে ঢাকা অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যান।

১৪০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে আবাহনী। উদ্বোধনী জুটিতে ৫১ রানের সংগ্রহ তুলে দেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। এরপর দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পরে তারা। চতুর্থ উইকেট জুটিতে দীনেশ কার্তিককে নিয়ে ৩৩ রানের জুটি গড়েন শান্ত। তবে দলীয় ১০১ রানে শান্তর বিদায়ের পর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে নিয়ে বাকি কাজ শেষ করেন কার্তিক।
 
ফলে ১২৪ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আবাহনী। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন তামিম। এছাড়া ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন কার্তিক। ভিক্টোরিয়ার পক্ষে এনামুল হক ও চতুরঙ্গ ডি সিলভা ২টি করে উইকেট পান।

আরটি/আরআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।