আমলা-তাহিরে বিধ্বস্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ


প্রকাশিত: ০৪:৪৯ এএম, ১৬ জুন ২০১৬

সিরিজে টিকে থাকতে জয়ের বিকল্প ছিল না দক্ষিণ আফ্রিকা এবং স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে। আর এ যাত্রায় জয় দিয়ে সিরিজে টিকে রইলো দক্ষিণ আফ্রিকা।  

বুধবার সেন্ট কিটসে ত্রিদেশীয় সিরিজের ষষ্ট ওয়ানডেতে টসে জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার হাশিম আমলা এবং ডি কক দক্ষিন আফ্রিকাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন। আমলা-ডি কক ১৮২ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় স্কোরের ভিত গড়ে দেয়। আমলা ক্যারিয়ারের ২৩তম সেঞ্চুরি তুলে নিলেও ডি ককের ব্যাট থেকে আসে ৭১ রান।

পরবর্তীতে ডু প্লিসিস ও ক্রিস মরিসের ব্যাটে ভর করে ৫০ ওভারে ৩৪৩ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। মরিস মাত্র ২৬ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলে আউট হলেও ডু প্লিসিস ৫০ বলে ৭৩ রান করে অপরাজিত থাকেন।

৩৪৪ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে শুরুটা ভালোই করছিল ক্যারিবিয় ওপেনাররা। ফ্লেচার-চার্লস জুটি ৬৯ রানের জুটি গড়ে দলকে ভালো সূচনা এনে দেন। কিন্তু এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার ইমরান তাহিরের রেকর্ড বোলিংয়ে বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারেনি ব্যাটসম্যানরা। ৯ ওভারে ৪৫ রানে ৭ উইকেট নিয়ে ঢুকে পড়লেন ইতিহাসের পাতায়। ফলে ২০৪ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। আর দক্ষিণ আফ্রিকা ১৩৯ রানের বড় জয় পায়।

এর আগে ওয়ানডে ইতিহাসের সেরা বোলিং ৮ উইকেট শিকারের। দ্বিতীয় সেরা ৭ উইকেটের রেকর্ডে ছিল ৮ জনের নাম। কিন্তু সেখানে কোনো দক্ষিণ আফ্রিকান ছিলেন না। লেগ স্পিনার ইমরান তাহির ৭ উইকেট নিয়ে এ খাতায় নাম লেখালেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে দ্রুততম সময়ে ওয়ানডেতে ১০০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডও গড়েছেন তাহির। ৫৮ ম্যাচে মাইলফলকটি স্পর্শ করেছেন।

এমআর/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।