সেঞ্চুরির কৃতিত্ব সতীর্থদের দিলেন লিটন


প্রকাশিত: ১২:১৬ পিএম, ১৫ জুন ২০১৬

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে ১৩তম ম্যাচে এসে রানের দেখা পেয়েছেন লিটন কুমার দাস। মোহামেডানের বিপক্ষে দারুণ এক সেঞ্চুরি করে ফর্মে ফিরেছেন তিনি। অথচ এই ব্যাটসম্যানই ছিলেন গত মৌসুমের সেরা পারফরমার। রানে ফিরেই এ সেঞ্চুরির কৃতিত্ব দিলেন সতীর্থদের। জানালেন তার সেঞ্চুরিতে বেশি খুশি হয়েছে তার সতীর্থরাই।

বুধবার সাভারের বিকেএসপিতে ম্যাচ শেষে লিটন বলেন, ‘আমার এ সেঞ্চুরি আমার সতীর্থ বিশেষ করে সিনিয়রদের অনুপ্রেরণায় হয়েছে। যতদিন ধরে রান পাচ্ছি না তারা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। অনুশীলনে তারা আমাকে বুঝিয়েছে এভাবে না এভাবে করতে হবে; এমনকি ম্যাচের সময়ও বুঝিয়েছে। আমি তাদের প্রসেসটা ফলো করেছি। আমার মনে হয় আমার চেয়ে তারা বেশি খুশি হয়েছে।’

এদিন অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে আবাহনীর ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নামেন লিটন। শুরু থেকেই দারুণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ব্যাটিং করেন তিনি। ৬০ বলে পঞ্চাশের কোটা পার করার পর সেঞ্চুরি করতে বল খেলেন ১০২টি। শেষ পর্যন্ত ১২০ বলে ১৮টি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে ১৩৯ রান করেন এ ব্যাটসম্যান। আর সেঞ্চুরি তুলেই তৃপ্তির ঢেঁকুর ফেলেন এই নবীন।  

‘অনেক দিন থেকেই রানের খরায় ছিলাম। শেষ ম্যাচেও মোটামুটি কিছু রান ছিল আমার, কিছু ভুলের জন্য আউট হয়ে গেছি। আমি চেষ্টা করেছি। সুযোগ পেয়েছি সে সুযোগটা কাজে লাগানোর। আর একজন ব্যাটসম্যানের লক্ষ্যই থাকে রান করা। ইনিংস শেষে যখন স্কোরবোর্ডে আমার বড় একটা রান, তখন নিজের কাছেই ভালো লাগে।’

গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ কিছু সেঞ্চুরি করেছেন লিটন। কিন্তু তার সবগুলোর থেকে এ ম্যাচের সেঞ্চুরিকে এগিয়ে রাখছেন এ নবীন। দারুণ চাপে থাকা এ ইনিংসকেই এখন পর্যন্ত নিজের সেরা বললেন তিনি।

‘সেঞ্চুরিতো আগেও করেছি, গত বছর অনেক রান করেছি, তবে ওটার থেকে এটা অনেক বেশি মূল্যবান। সেঞ্চুরি না হয়ে যদি পঞ্চাশও হতো তাও আমার কাছে মনে হতো এটার মূল্য অনেক বেশি।’

এদিন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানের বিপক্ষে আবাহনীর হয়ে এ সেঞ্চুরি হাঁকান লিটন। তার সেঞ্চুরিতে ভর করেই মোহামেডানকে ৩৭২ রানের বিশাল লক্ষ্য দেয় আবাহনী। আর ম্যাচটি জিতে নেয় রেকর্ড ২৬০ রানের ব্যবধানে।

আরটি/আরআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।