মোহামেডানকে লজ্জায় ডুবালো আবাহনী


প্রকাশিত: ০৯:২৫ এএম, ১৫ জুন ২০১৬

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে সুপার সিক্সের ম্যাচে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে বিশাল ব্যবধানে পরাজয়ের লজ্জা দিয়েছে আবাহনী লিমিটেড। বিকেএসপিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে ২৬০ রানের লজ্জাজনক পরাজয় ঘটেছে মোহামেডানের। লিটন কুমার দাস ও ভারতীয় ব্যাটসম্যান দীনেশ কার্তিকের জোড়া সেঞ্চুরির পর সাকিব আল হাসানের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে বিপুল ব্যবধানে এ জয় পায় আকাশী-হলুদ শিবির। ফলে ১৩ ম্যাচের মধ্যে একটি পরিত্যক্ত হওয়া ছাড়াই ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা লড়াইয়ে এগিয়ে গেলো তারা। অপরদিকে এ হারের ফলে শিরোপা স্বপ্ন অনেকটাই ফ্যাকাশে করে তুলল মোহামেডান।

আবাহনীর দেয়া ৩৭২ রানের বিশাল লক্ষ্য তারা করতে নেমে শুরুতেই সাকিবের ঘূর্ণিতে পড়ে মোহামেডান। মাত্র ৮ রানেই দুই ওপেনারকে হারায় তারা। এরপর নাঈম ইসলাম ও মুশফিকুর রহীম দলের হাল ধরার চেষ্টা করলেও সাকলাইন সজীবের ঘূর্ণিতে বেশি দূর এগুতে পারেনি তারা। এ দুই ব্যাটসম্যানকে সজীব প্যাভিলিয়নে ফেরান। এরপর আবার আঘাত হানেন সাকিব। ফলে ২৪.৩ ওভারে মাত্র ১১১ রানেই গুটিয়ে যায় মোহামেডানের ইনিংস।

মোহামেডানের পক্ষে মাত্র তিনজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পারলো। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন নাঈম ইসলাম। এছাড়া মুশফিক ২৬ ও আরিফুল হক ১৭ রান করেন। আবাহনীর পক্ষে ১৮ রান দিয়ে পাঁচটি উইকেট পান সাকিব। এছাড়া সাকলাইন সজীব ও মোসাদ্দেক হোসেন ২টি করে উইকেট নেন।

এর আগে বুধবার সাভারের বিকেএসপিতে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে আবাহনী। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করে তারা। অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নেমে এদিন দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন লিটন। উদ্বোধনী জুটিতে তামিমের সঙ্গে ৪৯ রান সংগ্রহ করেন।

তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ভারতীয় ব্যাটসম্যান দীনেশ কার্তিকের সঙ্গে ১৬২ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে দলের বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন লিটন। শুরু থেকেই দারুণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ব্যাটিং করে সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ৬০ বল মোকাবেলা করে পঞ্চাশের কোটা পার করেন তিনি। আর সেঞ্চুরি তুলতে বল খেলেন ১০২টি। শেষ পর্যন্ত ১২৫ বলে ১টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৩৯ রান করেন লিটন।

লিটনের বিদায়ের পর সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ১০১ রানের আরও একটি দারুণ জুটি গড়েন দীনেশ কার্তিক। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে কার্তিকও তুলে নেন সেঞ্চুরি। ৯৭ বলে ১১টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ১০৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

শেষদিকে ঝড়ো ব্যাটিং করে আবাহনীকে রেকর্ড রানের সংগ্রহ এনে দেন সাকিব। মাত্র ২৪ বলে ৫৭ রানের দানবীয় ইনিংস খেলেন তিনি। এদিন চারের চেয়ে ছক্কা মারায় মনোযোগী ছিলেন বেশি সাকিব। ২টি চারের বিপরীতে ৫টি ছক্কা মারেন তিনি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৭১ রানের পাহাড়সম রানের সংগ্রহ পায় দলটি।

আরটি/আইএইচএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।