২০১৪ সালে ১৫৪ নারী গণধর্ষণের শিকার
২০১৪ -এর জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে চার হাজার ৬শ ৫৪জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এ সময় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৩৩৯টি, গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ১৫৪ জন নারীর এবং ধর্ষণের পর ৯৯ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের এক পর্যালোচনা প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপরিষদ থেকে এ পর্যালোচনা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৩টি দৈনিক পত্রিকায় জানুয়ারি-ডিসেম্বর ২০১৪ এর মধ্যে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
পর্যালোচনা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জানুয়ারি-ডিসেম্বর ২০১৪ সালে মোট ৪৬৫৪ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। র্ধষণের ঘটনা ঘটেছে মোট ৯৩৯ টি তন্মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৭৪ জন, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৯৯ জনকে। এছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ১১৫ জনকে, শ্লীলতাহানীর শিকার হয়েছে ১১৬ জন, যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৪৪ জন।
এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছে ৫৫ জন, তন্মধ্যে এসিডদগ্ধের কারণে মৃত্যু ৪ জন। অগ্নিদগ্ধ হয়েছে ৫৮ জন তন্মধ্যে অগ্নিদগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের। অপহরণের ঘটনা ঘটেছে মোট ১১৮ জন। নারী ও শিশু পাচার করা হয়েছে ৩০ জন তন্মধ্যে পতিতালয়ে বিক্রি করা হয়েছে ১৯ জনকে। ৮৯৮ জন নারী ও শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৪৩১ জন নারী এদের মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে ২৩৬ জনকে।
গৃহপরিচারিকা নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৮৬ জন তন্মধ্যে হত্যা করা হয়েছে ৩৯ জনকে। উত্ত্যক্ত করা হয়েছে ৪৬৫ জনকে, তন্মধ্যে আত্মহত্যা ২১ জন। ফতোয়ার শিকার হয়েছে ২৯ জন। বিভিন্ন নির্যাতনের কারনে ৩৪১ জন আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে এবং ১৮৩ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বাল্য বিয়ের শিকার হয়েছে ৯৩ জন। পুলিশী নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৫৩ জন। শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে ২৫৮ জনকে। এছাড়া অন্যান্যরা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, এ বছরে মোট ২৭৭ টি সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনায় বাড়ি, অগ্নি সংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।