আম্পায়ারের সাথে তামিমের দুর্ব্যবহারে খেলা বন্ধ


প্রকাশিত: ১১:২০ এএম, ১২ জুন ২০১৬

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের প্রথম দিনে আবাহনীর অধিনায়ক তামিম ইকবালের অসৌজন্যমূলক আচরণে ম্যাচ বন্ধ রেখেছেন আম্পায়াররা। সাভারের বিকেএসপিতে প্রাইম দোলেশ্বরের ইনিংস ১৭ ওভারে একটি স্ট্যাম্পিংয়ের আবেদন নিয়ে আম্পায়ারদের উপর চড়াও হন তামিম। এরপর বিকাল ৩টা ১৮ মিনিটের পর খেলা আর মাঠে গড়ায়নি।

ইনিংসের ১৫.৪ ওভারে সাকলাইন সজীবের বলে রকিবুল হাসান তখন ব্যাট করছিলেন। একটি স্ট্যাম্পিংয়ের আবেদনে সাড়া না দিলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আবাহনী শিবির। আম্পায়ারদের সে সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি তামিম। ফিল্ড আম্পায়ার গাজী সোহেল ও তানভীর হায়দারকে প্রকাশ্যে গালিগালাজ করেন তামিমসহ আবাহনীর সমর্থকরা। পরে আম্পায়াররা ম্যাচ রেফারির সঙ্গে কথা বলে মাঠ ছাড়েন।

এর আগে রোববার সাভারের বিকেএসপিতে আগের দিন থেকে বৃষ্টির ফলে উইকেট ভেজা থাকায় নির্দিষ্ট সময়ে খেলা শুরু হতে পারেনি। ফলে ৫০ ওভারের খেলা ৪৫ ওভারে নির্ধারণ করা হয়। সকালে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে আবাহনী লিমিটেড। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই পেসার আল-আমিনের তোপে পরে তারা। দলীয় ১৯ রানেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে দারুণ চাপে পরে দলটি।

এরপর লিটন দাসকে নিয়ে দলের হাল ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তৃতীয় উইকেট জুটিতে এই দুই ব্যাটসম্যান দলের পক্ষে ৮১ রান সংগ্রহ করেন। তবে দলীয় ১০২ রানে লিটনের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। ফলে ৮৯ রান যোগ করতেই শেষ আট উইকেট হারায় তারা। শেষ পর্যন্ত ১৪ বল বাকি থাকতেই ১৯১ রানে অলআউট হয় আবাহনী।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭১ রান করেন শান্ত। ১১৩ বলে ৫টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। এছাড়া লিটন দাস করেন ৪৮ রান। দোলেশ্বরের পক্ষে ৩০ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন আল-আমিন। সানজামুল ইসলাম ৩৯ রানে পান ৩টি উইকেট। এছাড়া ২টি পান নাসির হোসেন।

আবাহনীর ১৯২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ১৩ রানেই রনি তালুকদারকে হারায় দোলেশ্বর। এরপর দলীয় ৩৮ রানে ইনফর্ম ব্যাটসম্যান ইমতিয়াজ হোসেনকেও হারায় তারা। এরপর ১৭তম ওভার পর্যন্ত ২ উইকেটে ৫৯ রান করে দোলেশ্বর।

আরটি/আরআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।