মাঠে নামার আগেই ইংলিশ-রাশিয়ান সমর্থকদের তুমুল সংঘর্ষ


প্রকাশিত: ০৬:২৮ এএম, ১১ জুন ২০১৬

ইংলিশ ফুটবল সমর্থকদের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। যেখানেই যাবে সংঘর্ষ বাধাবেই। এবারের ইউরোও নিস্তার পাচ্ছেন ইংলিশ হুলিগানদের কাছ থেকে। ইউরোর শুরুর আগেরদিনই সংঘর্ষে জড়িয়েছে তারা। দ্বিতীয়দিনের মত তারা সংঘর্ষ বাধিয়েছে রাশিয়ান এবং স্বাগতিক ফ্রান্স সমর্থকদের সঙ্গে। ত্রিমুখি সংঘর্ষ থামাতে দাঙ্গা পুলিশ নামাতে হয়েছে ফরাসি কর্তৃপক্ষকে। টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে, অনেককে গ্রেফতার করেই তবে থামাতে হয়েছে সেই তুমুল সংঘর্ষ।

Euro-Clash

মার্সেইয়ের স্টেডে ভেলোড্রোমে বাংলাদেশ সময় আজ রাত ১টায় মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ড এবং রাশিয়া। মাঠে নামার আগেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তুলেছে দু’দেশের সমর্থকরা। সঙ্গে যোগ হয়েছে স্বাগতিক ফরাসিরাও।

সংঘর্ষের সূচনাটা করে মূলত ইংলিশ সমর্থকরাই। মার্সেইয়ের কুইন ভিক্টোরিয়া পাবে মদ পান করে তারা মাতাল হয়ে মদের বোতল ছুড়ে মারে ফ্রান্স নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের গায়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার গ্যাসের সেল নিক্ষেপ করতে বাধ্য হন নিরাপত্তারক্ষীরা। শুধু তাই নয়, দাঙ্গা পুলিশের পোষাক পরে সেই নিরাপত্তারক্ষীরা অ্যাকশনে গেলে শতাধিক সমর্থক বিভিন্ন অলিতে গলিতে ছড়িয়ে পড়ে।

Euro-Clash1

পরিস্থিতি যখন এ পর্যায়ে তখন সংঘর্ষে যোগ দেয় রাশিয়ান সমর্থকরা। তারাও ছিল প্রায় সবাই মদ্যপ। মাতাল হয়ে তারা চড়াও হয় ইংলিশ সমর্থকদের ওপর। একজন প্রত্যক্ষদর্শী ডেইলি মেইলকে বলেন, এক সমর্থক দৌড়ের মধ্যে রাস্তায় পড়ে যান। এরপর সমানে লাথি চলতে থাকে তার ওপর। কোন দলের সমর্থক তিনি, সেটাই ওই সময় বোঝাও যাচ্ছিল না। পরে জানা গেলো কমলা টি-শার্ট পরিহিতি ওই সমর্থক ইংল্যান্ডের।

পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আবারও ইংলিশ সমর্থকরা মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় এসে সংঘর্ষ শুরু করে দেয়।’ সংঘর্ষ যখন বিভিন্ন অলিতে-গলিতে ছড়িয়ে পড়ে, তখন তাতে যোগ দেয় ফ্রান্সের স্থানীয় সমর্থকরাও। ত্রি-মুখি তুমুল সংঘর্ষে রক্তাক্তের ঘটনাও ঘটতে থাকে। অবশেষে এই সংঘর্ষ থামাতে ব্যাপক অ্যাকশনে নামতে হয় পুলিশকে। গাড়ির গ্লাস ভেঙে, বাড়ি-ঘরের ওপর হামলাকারী ইংলিশ সমর্থকদের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও কের ফরাসি পুলিশ।

Euro-Clash

আইএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।