গ্রামের বাড়িতে মুস্তাফিজ
সাতক্ষীরাবাসীর প্রতীক্ষার প্রহর যেন শেষ হলো। যার মাধ্যমে বিশ্ব ক্রিকেট বাংলাদেশকে নুতনভাবে চিনলো, সেই উদীয়মান তারকা ক্রিকেটার মুস্তাফিজ পৌঁছে গেছেন নিজ জেলা সাতক্ষীরায়। আইপিএল জয়ের পর মহানায়ক হয়ে জাতীয় বীর খেতাব নিজের গ্রাম তেঁতুলিয়ায় ফিরে আসলেন এই বরেণ্য ক্রিকেটার।
ঢাকা থেকে নভো এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ১৮ মিনিটে যশোর বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। ছেলেকে নিতে আগেই বিমানবন্দরে পৌঁছে যান মুস্তাফিজের গর্বিত বাবা আলহাজ অবুল কাশেম গাজী। সঙ্গে ছিলেন মুস্তাফিজের খালু আনিসুর রহমান ও বড়ভাই মাহফুজুর রহমান মিঠুসহ মুস্তাফিজের ঘনিষ্ঠ একঝাঁক বাল্যবন্ধু।
`মুস্তাফিজ কারিগর`- যার হাত ধরে, কোলে-পিঠে চড়ে বড় হয়েছেন মুস্তাফিজ, সেই সেঝো ভাই মোখলেছুর রহমান পল্টু ছিলেন সাতক্ষীরা শহরের নিউ মার্কেট মোড় এলাকায়। অপেক্ষা করছিলেন তার আদরের ছোট ভাইয়ের জন্য।
সেখানেই জাগো নিউজের সঙ্গে কথা হয় এই `মুস্তাফিজ কারিগরে`র। চা খাওয়ার আড্ডায় তিনি বলেন, `আমি চেষ্টা করেছি মাত্র। সকলের দোয়া আর আল্লাহর অশেষ রহমতে মুস্তাফিজ আজ তারকা ক্রিকেটার হতে পেরেছে। যখন বাড়ি থেকে সাতক্ষীরায় নিয়ে আসতাম তখন ভাবতাম মুস্তাফিজ একদিন ভালো ক্রিকেটার হবে। আমার ভাবনা আর পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। খুব ভালো লাগে যখন বাড়িতে বসে ছোটভাইকে টিভির পর্দায় দেখি।`
অন্যদিকে, বিমানবন্দরে পৌঁছামাত্রই পরিবারের পক্ষ থেকে মুস্তাফিজকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান খালু আনিসুর রহমান। পরে সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কিছুটা সময় দিয়ে সাতক্ষীরার উদ্দেশে রওনা দেন আইপিএলজয়ী তারকা। রাত ৯টা ৪০ মিনিটে একটি প্রাইভেট ও একটি মাইক্রোযোগে সাতক্ষীরায় পৌঁছান তিনি। শহরের কামালনগর এলাকায় ব্যবসায়ী খালু আনিসুর রহমানের বাড়িতে পৌঁছে কিছুটা সময় কাটানোর পর রওনা হন কালিগঞ্জের নিজ গ্রাম তেঁতুলিয়ার উদ্দেশে।
রাত ১১টায় তার বাড়িতে মায়ের কাছে পৌঁছে যান মুস্তাফিজ। বাড়িতে পৌঁছেই মা মাহমুদা বেগমকে জড়িয়ে ধরেন মুস্তাফিজ। সেখানেও অপেক্ষায় ছিলেন আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ এলাকার শত শত মানুষ।
জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন জাগো নিউজকে জানান, সাতক্ষীরার কৃতিসন্তান মুস্তাফিজুর রহমানকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল; কিন্তু বিশেষ কারণে তা বাতিল করা হয়। একইসঙ্গে যেকোনো সংগঠনের পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনার বিষয়টি আপাতত বন্ধ রাখা হযেছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুস্তাফিজুর রহমানের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে মিষ্টি মুখ করানো হবে।`
আকরামুল ইসলাম/আইএইচএস/বিএ