‘স্বপ্ন ছিল ২০০ ম্যাচের মাইলফলক ছোঁয়া’

এএইচএফ কাপ খেলতে ইন্দোনেশিয়া গেছে বাংলাদেশ জাতীয় হকি দল। কোচ মামুন উর রশীদের নেতৃত্বে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দলটির সঙ্গে থাকতে পারতেন এ সময়ে দেশের সেরা তারকা রাসেল মাহমুদ জিমি। তবে ফেডারেশনের অলিখিত অদ্ভূদ নিয়মে তিক্ত এক অভিজ্ঞতা হয়েছে তার। পারফরম্যান্স কিংবা ফিটনেসে নয়, জিমিকে জাতীয় দলের বাইরে রাখা হয়েছে বয়সের কারণে।
পারফরম্যান্স ও ফিটনেসে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকলেও বয়স ৩২ বছরের বেশি হলে জাতীয় দলে খেলা যাবে না, ক্রীড়াবিশ্বে প্রথম এমন নজির স্থাপন করেছে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের বর্তমান অ্যাডহক কমিটি।
কোনো আইন নেই, কোনো বিধান নেই; অনেকের অভিযোগ হকি অঙ্গনের রাজনীতির বলি হয়ে জাতীয় দলের বাইরে জিমি। তাকে ফিটনেস পরীক্ষা দেওয়ারও সুযোগ দেয়নি ফেডারেশন। জিমির স্বপ্ন ছিল ২০০ ম্যাচ খেলার মাইলফলক স্পর্শ করার। সেই স্বপ্নে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ফেডারেশনের এই বয়সের ব্যারিকেড।
সম্প্রতি জাগো নিউজকে একটি সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বাংলাদেশ দল থেকে বাদ পড়া এ হকি তারকা। সেখানে নিজের স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা ও কৃতিত্ব নিয়ে কথা বলেছেন রাসেল মাহমুদ জিমি। পাঠকদের জন্য তার সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো।
জাগো নিউজ : কেমন আছেন?
রাসেল মাহমুদ জিমি : ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
জাগো নিউজ : বয়সের কারণে আপনাকে জাতীয় দলে ডাকেনি ফেডারেশন। এ নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে। বিষয়টি ক্রীড়া উপদেষ্টার কানেও গিয়েছে। তারপরও আপনাকে বাইরে রেখেই জাতীয় দল তৈরি হয়েছে।
রাসেল মাহমুদ জিমি : সবই আপনারা জানেন। আমার একটা স্বপ্ন ছিল ২০০ ম্যাচ খেলার মাইলফক ছোঁয়ার। কী হবে জানি না।
জাগো নিউজ : আর কয়টি ম্যাচ খেললে দুইশত ম্যাচ পূর্ণ হতো?
রাসেল মাহমুদ জিমি : এখন পর্যন্ত ১৯৪ ম্যাচ খেলেছি। ইচ্ছা ছিল আর ৬ ম্যাচ খেলে...। কী হবে বুঝতে পারছি না। দেখি পরবর্তীতে কী হয়।
জাগো নিউজ : আপনার জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল কবে?
রাসেল মাহমুদ জিমি : ২০০৩ সালে মালয়েশিয়ায় এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আমার জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল।
জাগো নিউজ : আপনি এশিয়ান কাপ খেলে অন্যতম রেকর্ড গড়েছেন। সেই রেকর্ড কী?
রাসেল মাহমুদ জিমি : আমি এশিয়া কাপ ৬ টি খেলেছি। এই রেকর্ড এশিয়ার কোনো খেলোয়াড়ের নেই।
জাগো নিউজ : এএইচএফ কাপ কয়টি খেলেছেন?
রাসেল মাহমুদ জিমি : আমি চারটি এএইচএফ কাপ খেলেছি। চারটিতেই আমরা চ্যাম্পিয়ন। দুইটিতে আমি অধিনায়ক ছিলাম।
জাগো নিউজ : জাতীয় দলের জার্সিতে সর্বশেষ ম্যাচ কোন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলেছেন?
রাসেল মাহমুদ জিমি : গত হাংজু এশিয়ান গেমসে ওমানের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচটি খেলেছি।
জাগো নিউজ : যা ঘটলো আপনার বিপক্ষে সেটাকে কীভাবে দেখছেন?
রাসেল মাহমুদ জিমি : আসলে এমন কেউ চান না। সবারই একটা সমাপ্তি আছে। সমাপ্তির সুন্দর একটা সিস্টেম থাকে। সেটা আমার বেলাতেই নয়, সবার ক্ষেত্রেই হওয়া উচিত। আগেও এমন হয়েছে। অনেক খেলোয়াড়ের বিদায় ভালো হয়নি। অথচ তারা দেশের জন্য লম্বা সময় খেলেছেন। এই সংস্কৃতি চলতে থাকলে সামনে অনেকেরই বিদায় ভালোভবে হবে না।
জাগো নিউজ : কেমন বিদায় হওয়া উচিত জাতীয় দলকে সেবা দেওয়া একজন খেলোয়াড়ের?
রাসেল মাহমুদ জিমি : অবশ্যই সম্মানজনকভাবে সবার বিদায় হওয়া উচিত।
জাগো নিউজ : ধন্যবাদ।
রাসেল মাহমুদ জিমি : আপনাকেও ধন্যবাদ।
আরআই/এমএইচ/জেআইএম