ইতিহাসের সামনে অ্যাটলেটিকো


প্রকাশিত: ০৭:১৫ এএম, ২৮ মে ২০১৬

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ট্রফিটা স্বপ্নের মত অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কাছে। দুইবার ফাইনাল খেলে কখনই যে এটা জেতা হয়নি তাদের! তবে আজ রিয়ালকে হারিয়ে নতুন করে ইতিহাস লিখতে বদ্ধ পরিকর ডিয়েগো সিমিওনের দল।    

দুই বছর আগে ফুটবল বিশ্ব প্রথমবারের মতো একই শহরের দুই দলকে মুখোমুখি হতে দেখেছিল ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের ফাইনালে। দ্বিতীয়বারেও তৈরি জমজমাট `মাদ্রিদ ডার্বি`।এর আগে ১৯৭৪ সালে অ্যাটলেটিকোর সামনে প্রথমবার সুযোগ এসেছিল শিরোপা জয়ের। সেবার রিপ্লে ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে পরাজিত হয় তারা। সর্বশেষ ২০১৪ সালে রিয়ালের বিপক্ষে। নির্ধারিত সময় শেষে ১-১ গোলে ড্র থাকা ম্যাচটি তারা অতিরিক্ত সময়ে হেরে যায় ৪-১ ব্যবধানে।

শিরোপা জয় নিয়ে অ্যাটলেটিকোর তারকা স্ট্রাইকার ফার্নান্দো তোরেস বলেন, ‘মাদ্রিদ দুর্দান্ত একটি দল। কিন্তু আমাদের নতুন করে লেখার সুযোগও রয়েছে। এই লড়াইয়ে কী হবে এটা কেউ জানে না। তবে ইতিহাস নতুন করে লেখাটা আমাদের দায়িত্ব।

এদিকে এবারের শিরোপা জয়ের মঞ্চে যোগ হয়েছে নতুন আরেকটি অধ্যায়, ক্লাব দুটির জার্সি গায়ে জড়ানো সাবেক দুই খেলোয়াড় দাঁড়াবেন ডাগ আউটে। জিনেদিন জিদান ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদের জার্সি গায়ে মাঠ দাপিয়েছেন। ডিয়েগো সিমিওনে ১৯৯৪ ও ২০০৩ সালে দুই মেয়াদে খেলেছেন অ্যাটলেটিকোতে। কোচ হিসেবে তারা অবশ্যই চাইবেন দলের জয়, তবে সাবেক খেলোয়াড় হিসেবে তাতে যোগ হচ্ছে অন্য রকম আবেগ।

আর্জেন্টাইন কোচ হিসেবে ইতোপূর্বে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন কেবল দুজন- লুইস কারনিগলিয়া এবং হেলেনিও এরেরা। তাদের কাতারে নাম লেখাতে পারেন তিনিও। যদিও ইতিহাস পিছিয়ে রাখছে তাকে। ২০১৪ সালের ফাইনালে পরাজিত হয়েছিলেন সিমিওনে। তবে এবারের প্রেক্ষাপটকে ভিন্ন চোখেই দেখছেন তিনি।

এ নিয়ে সিমিওনে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি আর লিসবনের ফাইনালের পরিস্থিতি আলাদা। তখন আমরা লিগ জিতেছিলাম। এবার তৃতীয় হয়ে শেষ করেছি। আমরা অন্যতম সেরা একটি দলের বিপক্ষে খেলছি এই বাস্তবতা মেনে নিতেই হবে। তবে চেষ্টা করব নিজেদের মতো খেলে ম্যাচটা নিয়ন্ত্রণে নিতে।

এমআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।