মুস্তাফিজের হায়দারাবাদকে ফাইনালে তুললেন ওয়ার্নার


প্রকাশিত: ০৭:১৬ পিএম, ২৭ মে ২০১৬

মুস্তাফিজের অভাবটা ভালোই টের পেলো সানরাইজার্স হায়দারাবাদ। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি তিনি। পরিবর্তে ট্রেন্ট বোল্ট সুযোগ পেলেন। কিন্তু কিউই এই পেসারের কাছ থেকে ৩৯ রান নিল গুজরাট ব্যাটসম্যানরা। সবচেয়ে বড় কথা, ডেথ ওভারে মুস্তাফিজ যেভাবে রান আটকায়, সেটা তো পারেইনি বোল্ট, উল্টো ডেথ ওভারে সানরাইজার্সের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ রান আদায় করে নিয়েছিল গুজরাট।

শেষ পর্যন্ত লক্ষ্য দাঁড়াল ১৬৩। এই রান তাড়া করতে নেমেও যেভাবে একের পর এক উইকেট বিলাতে শুরু করে হায়দারবাদের ব্যাটসম্যানরা, তাতে পরাজয়ের শঙ্কাই দেখা দেয় মুস্তাফিজের দলের সামনে। ১১৭ রানের মাথায় ৬ষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটলেও শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারের দৃঢ়তায় গুজরাটকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেলো সানরাইজার্স হায়দারাবাদ।

ডেভিড ওয়ার্নারকে সম্ভবত কোন বিশেষণেই বিশেষায়িত করা যাবে না। পুরো টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে বলতে গেলে হায়দারাবাদকে একা টেনে নিয়ে এসেছেন তিনি। বোলাররা ভালো করলেও ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থতার পরিচয় দিলে সেখানে করার কিছু থাকে না; কিন্তু ম্যাচের পর ম্যাচ ওয়ার্নারের ব্যাটই বাঁচিয়ে দিয়েছে সানরাইজার্সকে।

আজও যেমন শিখর ধাওয়ান গোল্ডেন ডাক মেরে দিল, হেনরিক্স আউট হয়ে গেলেন ১১ রানে। যুবরাজ সিং ১৩ বল খেলে ৮ রান, দীপক হুদা ৯ বলে ৪, বেন কাটিং ৭ বলে ৮ রান এবং নোমান ওঝা ৮ বলে ১০ রান করে আউট হয়ে যাওয়ার পর সানরাইজার্সের জয়ের সম্ভাবনাও শেষ হয়ে যায় বলতে গেলে। কেউ আর তখন তাদের পক্ষে বাজি ধরার মত ছিল না।

তবে, ডেভিড ওয়ার্নার তখনও উইকেটে ছিলেন বলে কেউ কেউ বাজি ধরার সাহস পেয়েছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত তাদেরই জয় হলো। ওয়ার্নারের উইলোবাজি এতটাই প্রকট ছিল যে, গুজরাট অধিনায়ক সুরেশ রায়নার কোন কুটচালও তাকে সেখান থেকে ফেরাতে পারেনি। মাত্র ৫৮ বল খেলে ১১টি বাউন্ডারি আর ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৯৩ রান সংগ্রহ করেন ওয়ার্নার। এমনকি অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়েই তবে মাঠ ছাড়েন তিনি।

শেষ মুহূর্তে ওয়ার্নারকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন বিপুল শর্মা। মূলতঃ স্পিনার হলেও কার্যকরি ব্যাটিং করে থাকেন তিনি। ১১ বল খেলে ২৭ রান তুলে জয়ের কৃতিত্বটা কিন্তু তারও প্রাপ্য। ২৭ রানের মধ্যে তিনটি ছক্কা। কোন বাউন্ডারি নেই। ওয়ার্নারের সঙ্গে ৪৭ রানের জুটি গড়ে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি।

গুজরাট লায়ন্সের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন শিবিল কৌশিক এবং ডোয়াইন ব্রাভো। ১ উইকেট নেন ডোয়াইন স্মিথ। ২৯ মে রোববার ব্যাঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ফাইনালে স্বাগতিক রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর মুখোমুখি হবে সানরাইজার্স হায়দারাবাদ।

আইএইচএস/এনএফ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।