প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পেল ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি

ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়েছেন কির্স্টি কভেন্ট্রি। আজ বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সাধারণ সভায় সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়ে ক্রীড়া ইতিহাসে নতুন অধ্যায় রচনা করেছেন তিনি। প্রথম আফ্রিকান হিসেবে আইওসিকে নেতৃত্ব দেবেন কভেন্ট্রি।
আইওসির সর্বোচ্চ পদ আসীন হয়ে আরও একটি রেকর্ড করেছেন কভেন্ট্রি। পিয়েরে দে কুবের্তাঁর পর আইওসির সবচেয়ে কনিষ্ঠ সভাপতি হয়েছেন তিনি। আধুনিক অলিম্পিক গেমসের প্রতিষ্ঠাতা ফরাসি কুবের্তাঁ ১৮৯৪ সালে আইওসি প্রতিষ্ঠা করেন এবং দুই বছর পর মাত্র ৩৩ বছর বয়সে সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন।
৪১ বছর বয়সী কভেন্ট্রি জিম্বাবুয়ের সাবেক বিশ্বমানের সাঁতারু। সবসময় নিজের লক্ষ্য ও সংকল্প নিয়ে অটল থেকে এই পর্যায়ে এসেছেন তিনি।
কয়েক বছর আগে একটি ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন কভেন্ট্রি লিখেছিলেন, ‘আমি যখন ৯ বছর বয়সী ছিলাম, তখন বাবাকে বলেছিলাম, আমি অলিম্পিকে গিয়ে স্বর্ণপদক জিততে চাই। তিনি আমাকে বলেছিলেন, এটি খুব কঠিন পথ হবে। অলিম্পিক দলে সুযোগ পাওয়াই কঠিন, তার ওপর আবার পদক জেতা আরও কঠিন। তবে তিনি আমার প্রতি বিশ্বাস রেখেছিলেন।’
আফ্রিকার সবচেয়ে সফল নারী অলিম্পিয়ান হিসেবে কভেন্ট্রি ২০ বছর বয়সে তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন। ২০০৪ সালে এথেন্স অলিম্পিকে ২০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে স্বর্ণপদক জয় করেন কভেন্ট্রি। চার বছর পর ২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিকে তিনি আবারও স্বর্ণ জেতেন।
এই দুই স্বর্ণপদকের পাশাপাশি তিনি চারটি রৌপ্যপদক এবং একটি ব্রোঞ্জপদক জিতেছেন কভেন্ট্রি, যা তাকে ইতিহাসের সবচেয়ে সফল আফ্রিকান নারী অলিম্পিয়ান করেছে। অলিম্পিকে তার চেয়ে বেশি সাফল্য অর্জন করেছেন কেবল ইথিওপিয়ার দূরপাল্লার দৌড়বিদ তিরুনেশ দিবাবা। তিনি তিনটি স্বর্ণ এবং দুটি ব্রোঞ্জপদক জিতেছিলেন।
এমএইচ/