জানুয়ারিতে ক্যাম্পে ফিরছেন সাবিনারা

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৯:৩৪ পিএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে ছুটিতে গিয়েছিলেন জাতীয় দলের নারী ফুটবলাররা। এই প্রথম সাবিনা-মারিয়াদের ছুটি অনির্দিষ্টকালের জন্য। কবে ক্যাম্পে ফিরতে হবে তা জানানো হয়নি অক্টোবরে টানা দ্বিতীয়বার সাফ জেতা দলের সিনিয়র সদস্যদের।

সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ সামনে রেখে বয়সভিত্তিক দলের খেলোয়াড়দের ক্যাম্পে ডাকা হলেও ফেব্রুয়ারির টুর্নামেন্ট পিছিয়ে চলে গেছে জুলাইয়ে। যে কারণে অনূর্ধ্ব-২০ দলের ক্যাম্প চলমান।

সিনিয়র মেয়েরা কবে ফিরবেন সেটা তারা নিজেরাও জানেন না। বৃহস্পতিবার রাতে নারী জাতীয় দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন বলেন, ‘আমরা নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ছুটিতে আছি। কবে ফিরতে হবে সেটা আমরা জানি না। নতুন বছরে আমাদের কী অ্যাসাইনমেন্ট আছে তাও জানি না। বাফুফে যখন ডাকবে তখন ক্যাম্পে যোগ দেবো।’

বাফুফের সাথে নারী ফুটবলারদের চুক্তি ছিল অক্টোবর পর্যন্ত। নতুন চুক্তির কোনো অগ্রগতি নেই। বাফুফের নতুন নেতৃত্ব সাবিনাদের সঙ্গে আবার চুক্তি করবে কিনা এবং করলেও কবে নাগাদ সেটা করবে, তা কারোর জানা নেই। যে কারণে নতুন চুক্তির বিষয়টি এখন পুরো অন্ধকারে।

মেয়েদের বেতন অবশ্য বাকি নেই। সাবিনা খাতুন জানালেন, তাদের কোনো বেতন পাওনা নেই। শুধু ৮ ম্যাচ ফি পাওনা। ভুটান ও চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে চারটি প্রীতি ম্যাচ এবং সাফের চার- এই ৮ ম্যাচের ফি প্রতিজনের ৮০ হাজার টাকা করে বাকি আছে।

নতুন বছরে নারী জাতীয় ফুটবল দলের এএফসির টুর্নামেন্ট আছে। ২৩ জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে হবে ২০২৬ এএফসি নারী এশিয়ান কাপের বাছাই।

বাফুফের নির্বাহী কমিটির সদস্য নারী উইংয়ের চেয়ারপার্সন মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের জন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। পাশাপাশি আমরা কিছু ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলবো। ফেব্রুয়ারির উইন্ডোতে ম্যাচ খেলবো। দল এখনো ঠিক হয়নি। তাই জানুয়ারিতেই সাবিনাদের ক্যাম্পে ডাকা হবে। ঠিক করে জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা ক্যাম্পে ফিরবেন সেই দিনক্ষণ ঠিক করা হয়নি।’

টানা দ্বিতীয়বার সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বাফুফের নারী কমিটির চেয়ারপারসন কিরণ বলেছিলেন, তারা দক্ষিণ এশিয়ার বাইরের শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে চান। সৌদি আরবসহ কয়েকটি দলের সঙ্গে বাফুফের চিঠি চালাচালি হচ্ছে। ২০২৫ সালে এশিয়ান বাছাই ছাড়া সাবিনাদের মাঠে নামার জন্য প্রীতি ম্যাচের ওপরই নির্ভর করতে হবে।

২০২৫ সালে নারীদের ফিফা উইন্ডো আছে ফেব্রুয়ারি, মার্চ-এপ্রিল, মে-জুন, অক্টোবর ও নভেম্বর-ডিসেম্বরে। বাফুফে চাইলে ১০ থেকে ১২টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। বিদায়ী বছরে নারী ফুটবল দল ৮ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে চারটি ফ্রেন্ডলি ও চারটি সাফের।

আরআই/এমএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।