গার্দিওলাও মানছেন
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে না পারার ঝুঁকিতে ম্যানচেস্টার সিটি
এক মৌসুম আগেও এই দলটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতেছে। আর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে তো একচ্ছত্র আধিপত্য। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন তো বটেই, সবশেষ চার আসরেই চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি।
এই দলটির হঠাৎ কী হয়ে গেলো! প্রিমিয়ার লিগে তারা পয়েন্ট তালিকার সপ্তম স্থানে রয়েছে। চতুর্থ স্থানে থাকা নটিংহ্যাম ফরেস্টের থেকে চার পয়েন্ট পিছিয়ে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সেরা চারে না থাকতে পারলে সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করা হবে না। টানা ১৪ মৌসুম ধরে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া সিটি তাই ভীষণ ঝুঁকিতে।
ম্যানচেস্টার সিটির ম্যানেজার পেপ গার্দিওলাও স্বীকার করেছেন যে, তার দল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের জন্য কোয়ালিফাই করতে না পারার ঝুঁকিতে রয়েছে।
পঞ্চম স্থানে থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে যাওয়ার সুযোগ থাকলেও, গার্দিওলা বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। বক্সিং ডে-তে এভারটনের বিপক্ষে ম্যাচের আগে তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক বিষয় অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু এটা শুধু সেখানেই সীমাবদ্ধ নয়। আমরা এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি। আমি আগেও বলেছিলাম, কিন্তু তখন সবাই মজা করেছিল।’
‘যখন কেউ বলে যে, প্রিমিয়ার লিগ জেতা বা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোয়ালিফাই করা বড় সাফল্য নয়, তখন আমি জানতাম এমনটা হতে পারে। কারণ এটি এই দেশে অন্য ক্লাবের সঙ্গেও ঘটেছে। দীর্ঘ সময় ধরে দাপট দেখানোর পর তারা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা করতে পারেনি।’
আর্সেনালের টানা ১৯ বছরের কোয়ালিফিকেশন ২০১৭ সালে থেমে যায়, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ১৮ বছর থামে ২০১৪ সালে, চেলসির ১৩ বছর থামে ২০১৬ সালে, আর লিভারপুল পুরোনো ইউরোপিয়ান কাপের সময় শেষ হওয়ার পর টানা ছয়বারের বেশি কোয়ালিফাই করতে পারেনি।
গার্দিওলা আরও বলেন, ‘গত ১১ বা ১২ বছর ধরে ম্যানচেস্টার সিটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে থেকেছে। যদি আমরা এই মৌসুমে কোয়ালিফাই করতে না পারি, তবে এর কারণ আমরা সেটা পাওয়ার যোগ্য ছিলাম না। সমস্যা সমাধান করতে না পারলে এবং ম্যাচ জিততে না পারলে এই প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়াটা স্বাভাবিক।’
একটি ভয়ানক সময় পার করছে সিটি, যেখানে শেষ ১২ ম্যাচের মধ্যে তারা মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে। তবে গার্দিওলা জানিয়েছেন, ক্লাব চেয়ারম্যান খালদুন আল-মুবারাক তার পাশে রয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রতি সপ্তাহে আমরা কথা বলি। আমি তার কাছ থেকে অসাধারণ সমর্থন পাচ্ছি। প্রথম মৌসুমেও আমরা এমন একটি সময় পার করেছিলাম, যখন আমরা কিছুই জিতিনি। আমরা জানি যে, যখন বড় সমস্যা হবে, তখনই বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি আমাকে সবসময় ইতিবাচক বার্তা দিয়েছেন।’
এমএমআর/জিকেএস