কাতার বিশ্বকাপের পর প্রতিদিন কাঁদতেন লুকাকু!

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৫১ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

বয়স মাত্র ৩১ বছর। এই বয়সেই অনেক উত্থান-পতন দেখে ফেলেছেন বেলজিয়ান তারকা রোমেলু লুকাকু। জাতীয় দলের পাশাপাশি ইউরোপের অনেক ক্লাবে খেলার অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে এই ফরোয়ার্ডের। সর্বশেষ চলতি মৌসুমে তার ঠাঁই হলো ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলিতে।

২০২১ থেকে শুরু করে গত মৌসুম পর্যন্ত ছিলেন ইংলিশ ক্লাব চেলসিতে।যদিও এর মধ্যে দুই মৌসুম লোনে কাটিয়েছেন ইন্টার মিলান এবং এএস রোমায়। নাপোলিকে পুরোদস্তুর নাম লিখে নিয়েছেন তিনি।

মৌসুম শুরুর পর নাপোলির জার্সিতে দারুণ পারফরম্যান্সও করে যাচ্ছেন। তবে, এরই মধ্যে এক সাক্ষাৎকারে জীবনের কঠিন একটি সময়ের কথা জানিয়েছেন তিনি। যে সময়টায় তিনি প্রতিদিন কাঁদতেন বলেও জানান লুকাকু।

Romelu Lukaku

২০২২ কাতার বিশ্বকাপে রোমেলু লুকাকুর দেশ বেলজিয়াম ছিল টপ ফেবারিট দেশগুলোর মধ্যে একটি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে তাদেরকে। বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয়ার পর বেশ কিছুদিন খুবই কঠিনভাবে কাটাতে হয়েছে বলে জানালেন বেলজিয়ান এই তারকা।

বেলজিয়ামের বাজে পারফরম্যান্সের জন্য রোমেলু লুকাকুর পারফরম্যান্সকেই সবচেয়ে বড় দায়ী হিসেবে সমালোচনা করা হয়। সমর্থকরা কঠোর সমালোচনা করতে থাকে। যে কারণে মানসিকভাবেই ভেঙে পড়েন ন্যাপোলির এই তারকা। মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতিও হতে থাকে তার।

রোমেলু লুকাকু এটাও জানান যে, বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে অপ্রত্যাশিত বিদায়ের পর বেশ কয়েক সপ্তাহ খেলাধুলার আশপাশেই যাননি। ফ্রেন্ডস অব স্পোর্ট পডকাস্টে কথা বলতে গিয়ে লুকাকু জানান, ওই সময়টায় প্রায় প্রতিদিনই তিনি কাঁদতেন। সে সময়টায় তাকে সাহস যোগাতে এগিয়ে আসেন বেলজিয়ামের সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ফ্রান্স ও আর্সেনাল কিংবদন্তি থিয়েরি অঁরি।

কাতার বিশ্বকাপের পরের অবস্থা নিয়ে রোমেলু লুকাকু বলেন, ‘আমি আমার দেশের জন্য খেলতে চেয়েছিলাম। কারণ আমার কোচ এবং দল আমাকে চেয়েছিলো। এই প্রথম ২৯ বছর বয়সে ফুটবল আমাকে খুব ভালোভাবে স্পর্শ করেছিলো। আমি কখনোই ডিপ্রেশন সম্পর্কে চিহ্নিতই করতে পারিনি। যে কারণে আমি প্রতিদিনই কান্না করেছি। আমার মা এবং বাচ্চারা তখন ছিল মিলানে। কিন্তু আমার কোনো শক্তি ছিল না। কিছু সময় আমাকে একা থাকতে হয়েছিলো।’

কিভাবে এই ট্রমা থেকে বের হয়েছিলেন? লুকাকু জানান, ওই সময় বেলজিয়ামের সহকারী কোচ থিয়েরি অঁরি তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছিলেন। প্রায় প্রতিদিন তিনবার করে কল করতেন লুকাকুকে। সাহস দিতেন, পরামর্শ দিতেন - এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য।

লুকাকুকে বেলজিয়ামের বর্তমান কোচ ডোমেনিকো তেদেস্কো চলতি মাসে আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য লুকাকুকে দলে ডাকেননি। তবে দলে না ডাকলেও জাতীয় দলে ফেরার আসা হারিয়ে ফেলেননি। আগামী বিশ্বকাপের দলে থাকার ইচ্ছা রয়েছে তার।

আইএইচএস/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।