তরফদার রুহুল আমিন

সভাপতি প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েও কেন সিনিয়র সহসভাপতি প্রার্থী?

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৯:৫৯ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

১৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে কাজী মো. সালাউদ্দিন বাফুফের নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণা দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ঘটা করে সভাপতি পদে নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছিলেন তরফদার মো. রুহুল আমিন।

ঘোষণা দেওয়ার পরপরই পর্দার আড়ালে চলে গিয়েছিলেন তরফদার। নির্বাচন করবেন কি না তা নিয়েও তৈরি হয় ধোঁয়াশা। এক পর্যায়ে নিশ্চিত হয়ে যায়, তার সভাপতি পদে নির্বাচন না করার খবর। তারপরও তাকে নিয়ে মনোনয়নপত্র বিতরণের শেষদিন পর্যন্ত ছিলো চরম নাটকীয়তা।

শেষ পর্যন্ত তরফদার রুহুল আমিন সবাইকে অবাক করে সিনিয়র সহসভাপতির মনোনয়নপত্র তোলেন এবং মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমাও দেন।

আজ বিকেলে তরফদার রুহুল আমিন বাফুফে ভবনের কয়েকশ গজ দূরে ঢাকা জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করলেও নিজে না গিয়ে প্রতিনিধির মাধ্যমে জমা দেন। এরপর গণমাধ্যমের কাছে তরফদার সভাপতির পরিবর্তে কেন সিনিয়র সহসভাপতি পদে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ১৫ সেপ্টেম্বর সভাপতি পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দেওয়ার ঠিক এক মাস পর তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বললেন গণমাধ্যমে।

হঠাৎ কেন সিনিয়র সহসভাপতি পদে? এ প্রশ্নই আগে শুনতে হয়েছে তরফদারকে। জবাবে বলেছেন, ‘ফুটবলের বৃহত্তর স্বার্থে তাবিথ আউয়ালকে সভাপতি পদে সমর্থন দিয়ে আমি সিনিয়র সহসভাপতি পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। তাবিথ আউয়ালের প্যানেলেই আছি আমি। যখন প্রার্থীতা ঘোষণা করলাম এবং তাবিথ আউয়াল আসলেন তখন আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি একসাথে নির্বাচন করার। তাতে ফুটবলের ভালো হবে। আমরা কেউ কারো প্রতিপক্ষ না। যার জন্য আমরা তাবিথ আউয়ালকে সমর্থন দিয়েছি। তাকে নিয়ে আমরা এক সাথে কাজ করতে পারবো।’

আপনি সভাপতি পদে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন একটি ভিশন নিয়ে। এখন সিনিয়র সহসভাপতি পদে ভোটে যাচ্ছেন। দুই পদের ভিশন তো দুই রকম হতে পারে তাই না? জবাবে রুহুল আমিন বলেন, ‘ভিশনের কোনো পরিবর্তন হবে না। একই থাকবে। সভাপতি, সিনিয়র সহসভাপতি তো পলিসি মেকার। পরিকল্পনা ঠিকমতো বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা সেটা তদারকি করা তাদের কাজ। আমাদের কাজ হবে ফুটবলের ফাউন্ডেশন তৈরি করা, তৃণমূলের ফাউন্ডেশন তৈরি করা।’

সিনিয়র সহসভাপতি পদে আপনার যে দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারা সবাই ফুটবলের জন্য কাজ করেন। এখন তো একজনকে হারাতে হবে। তাহলে ফুটবলের ক্ষতি হবে না? সে বিষয়ে আপনি কি বলবেন?

‘আসলে আমি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। বাফুফের ভেতরে থাকি আর বাইরে থাকি আমাদের লক্ষ্য এক। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার অর্থ এই নয় যে, নির্বাচন করতেছি। অনেক সময় আছে। ২০ অক্টোবর পর্যন্ত প্রত্যাহারের সময় আছে। প্যানেল হলেও হতে তো পারে। এখানে হারানোর কিছু নেই। আমি ফুটবলে অনেক কাজ করেছি। আমি একটানা ৭-৮ বছর ফুটবলে কাজ করেছি। আমি কি কোনো পদে ছিলাম? পদে ছিলাম না, কাজ করেছি। তাই ওটা কোনো ইস্যু না। ২০ তারিখের মধ্যে অনেক কিছু হয়ে যাবে। আলোচনা অব্যাহত আছে’- বলেছেন তরফদার রুহুল আমিন।

আরআই/আইএইচএস/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।