তরফদারের প্রার্থিতা অনুষ্ঠানে আমিনুল

তাবিথ আউয়াল বললেন, ‘দলের পরিচয় মুখ্য না’

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৮:২১ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সাবেক তারকা গোলরক্ষক আমিনুল হক ও আরেক সাবেক ফুটবলার তাবিথ আউয়াল দুজনই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রাজনীতি করেন। আমিনুল হক বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এবং তাবিথ আউয়াল নির্বাহী কমিটির সদস্য। আগামী ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচনে বিএনপির এই দুই নেতা দুই মেরুতে।

এক সপ্তাহ আগে রাজধানীর একটি হোটেলে ঘটা করে বাফুফে নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছিলেন তফরদার রুহুল আমিন। সে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আমিনুল হকসহ কয়েকজন বিএনপি নেতা।

সোমবার ঘটা করে বাফুফে সভাপতি পদে লড়াইয়ের ঘোষণা দিলেন তাবিথ আউয়াল। বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে দুবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে নির্বাচন করা তাবিথের বাফুফে সভাপতি পদে লড়াইয়ের ঘোষণা অনুষ্ঠানে বিএনপির কেউ ছিলেন না।

২০১২ সাল থেকে তাবিথ আউয়াল নির্বাচন করে আসছেন বাফুফেতে। প্রথম ও দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হলেও হেরে যান তৃতীয়বার।

চতুর্থবারের মতো বাফুফেতে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন তাবিথ। তবে এবার সভাপতি পদে। নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে তিনি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমি আশাবাদী যে, সভাপতি পদে নির্বাচন করলে জিতবো। জিতলে দেশের ফুটবলকে আরও সামনের দিকে নিয়ে যেতে পারবো।’

গণমাধ্যম থেকে অনেক প্রশ্নই গেছে তাবিথের কাছে। যার মধ্যে একটা প্রশ্ন ছিল আমিনুল হককে নিয়ে। সম্ভাব্য আরেক সভাপতি প্রার্থীর অনুষ্ঠানে আমিনুলের উপস্থিতি নিয়ে তাবিথ বলেন, ‘আমি গণমাধ্যমে দেখেছি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কিছু কিছু কর্মকর্তা হয়তো আরেক ব্যক্তিকে সাপোর্ট করতে পারেন। সেই জায়গাটা তো আমরাও চাচ্ছি। আমরা বারবার বলছি, ভোটে আমরা সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখতে চাই। এখানে কিন্তু দলের পরিচয় মুখ্য নয়। ফুটবলের জন্য যে ব্যক্তি ভালো হবেন, ভোটাররা সেভাবে তাদের রায় দেবেন। আমি সরাসরি বলি, আমিনুল হক সাহেব; তাকেও যদি আমার মতো দলের মধ্যে বন্দি করে রাখেন, সেটা সমুচীন হবে বলে মনে করি না।’

‘আমিনুল হকও ফুটবল অঙ্গনের একজন ব্যক্তি। তিনি জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক। সাফজয়ী দলের সদস্য। কে কোন পরিচয় দিয়ে কাকে সাপোর্ট করছেন, সেটা তাদের ব্যক্তিগত জায়গায়ই সীমিত রাখা উচিত। আমি ঠিক ক্রীড়াবিদ হিসেবেই বাফুফেতে নির্বাচন করতে যাচ্ছি।’

ভালো নেতৃত্ব তৈরির জন্য নির্বাচনকেই গুরুত্ব দিয়েছেন সাবেক এই ফুটবলার, ‘নির্বাচনের মাধ্যমেই সবচেয়ে ভালো নেতা তৈরি হতে পারে। নিজে নিজেকে যতই ভালো সংগঠক মনে করুন, নির্বাচন ছাড়া সেভাবে গ্রহণযোগ্যতা পায় না। আমি চাইবো, একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে কেউ সভাপতি পদে জিতে আসুক। তখন সে বুঝতে পারবে ক্রীড়াঙ্গনের সাপোর্ট তার ওপর আছে। এরই মধ্যে শোনা যাচ্ছে এক বা দুজন ব্যক্তি আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন সভাপতি পদে। তবে এখন পর্যন্ত সব কিছুই আনঅফিসিয়াল।’

রাজনীতি ও খেলাধুলা একসাথে চালালে স্বার্থের দ্বন্দ্ব হবে হবে কি না? এমন এক প্রশ্নের জবাবে তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘আমার তো অনেক পরিচয় আছে। আমি একজন ব্যবসায়ী। আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে দীর্ঘদিন ধরে আছি। ২০১৫ ও ২০২০ সালে আমি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে নির্বাচন করেছিলাম বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে। একই সাথে আমি ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ছিলাম দুবার। এ সময় আমার রাজনীতি আর ক্রীড়ানীতিতে কোনো স্বার্থের দ্বন্দ্ব হয়েছে বলে আমি মনে করি না।’

আরআই/এমএমআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।