দর্শকদের সঙ্গে মারামারি

নুনেজকে বরখাস্ত করলো কনমেবল

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:১৮ এএম, ২৯ আগস্ট ২০২৪

উরুগুয়ের ফরোয়ার্ড ডারউইন নুনেজকে ৫ ম্যাচের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল বুধবার লিভারপুলের তারকাকে এই শাস্তি দিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা- কনমেবল। সর্বশেষ কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়ার দর্শকদের সঙ্গে মারামারিতে জড়ানোর কারণে তাকে এই শাস্তি দেওয়া হয়।

শুধু নুনেজ একা নয়, এই অপরাধের বেশি পরিমাণে জড়িত থাকার কারণে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে উরুগুয়ের আরও চার ফুটবলারকে।

আগামী ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচে প্যারাগুয়ে, ভেনিজুয়েলা, পেরু ও ইকুয়েডরের বিপক্ষে খেলতে পারবেন না নুনেজ।

ম্যাচে নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে নুনেজকে জরিমানাও করেছে কনমেবল। ২০ হাজার ডলার জরিমানা দিতে হবে তাকে।

এই শাস্তি নুনেজকে ঘরোয়া ফুটবল থেকে নিবৃত্তি করবে না। যে কারণে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লিভারপুলের জার্সিতে খেলতে বাধা নেই নুনেজের।

সেদিন নুনেজের সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়েছেন সতীর্থ রদ্রিগো বেনটানকারও। তাকে চার ম্যাচের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া জরিমানা করা হয়েছে ১৬ হাজার ডলার।

একই অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে হোস মারিয়া গুমেনেজ, মাথিয়াস অলিভেরা ও রোনাল্ড আরাওহোকে। এই তিনজনকে ১২ হাজার ডলার করে জরিমানা গুনতে হবে।

গেল ১০ জুলাই কোপার কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে যায় উরুগুয়ে। নর্থ ক্যারোলিনাতে হওয়া ওই ম্যাচে গ্যালারিতে গিয়ে কলম্বিয়ার দর্শকদের সঙ্গে মারামারিতে জড়ান উরুগুয়ের ফুটবলাররা। এই ঘটনার তদন্তে উরুগুয়ের খেলোয়াড়দের অপরাধের প্রমাণ পায় কনমেবল।

সেই ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায়, কলম্বিয়ার দর্শকদের দিকে চেয়ার ছুড়ে মারছেন নুনেজ।

ঘটনার সঙ্গে তেমন জড়িত ছিলেন না- এমন ছয় ফুটবলারকে পাঁচ হাজার ডলার করে জরিমানা করা হয়েছে। এসব ফুটবলাররা হলেন- মাথিয়াস ভিনা, সেবেস্টিয়ান কেসেরেস, ব্রায়ান রড্রিগেজ, এমিলিয়ানোর মার্টিনেজ, সান্তিয়াগো মেলে ও ফাকুন্দো পেলিস্ট্রি।

শুধু ফুটবলার নয়, উরুগুয়ের ফুটবল ফেডারেশনকেও শাস্তি দিয়েছে কনমেবল। দেশটির ফুুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে ২০ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা গেছে, উরুগুয়ে ফেডারেশনের এক কর্মকর্তা দর্শকদের দিকে বোতল ছুড়ে মারছেন। তাকে কনমেবলের যেকোনো প্রতিযোগিতামূলক আসর থেকে ৬ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

ওই ঘটনার পরপর উরুগুয়ের হেড কোচ মার্সেলো বিয়েলসা দাবি করেছিলেন, খেলোয়াড়রা তাদের পরিবারের সদস্যের বাঁচাতে মারামারিতে জড়িয়ে ছিলেন।

তিনি বলেছিলেন, ‘একমাত্র জিনিস আমি আপনাকে বলতে পারি যে খেলোয়াড়রা অন্য মানুষের মতোই প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল। আপনি যদি ঘটনাটির শুরু থেকে দেখেন, তাহলে দেখবেন দাঙ্গা থেকে সরে আসার একটি প্রক্রিয়া ছিল। এর থেকে বেঁচে থাকার সুযোগ ছিল। তবে সেগুলো ব্যর্থ হয়েছে। আপনি দেখবেন, সেখানে আপনার স্ত্রী, মা এবং শিশুর উপর হামলা হচ্ছে। আপনি কি মনে করেন, যারা নিজেদের রক্ষা করার জন্য ব্যস্ত, খেলোয়াড়রা তাদের উপর আক্রমণ করবে?’

এমএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।