১০ দিনের ছুটি দেওয়া হলো নারী ফুটবলারদের
মতিঝিলের বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনের চতুর্থতলায় নারী ফুটবলারদের ক্যাম্প। জাতীয় ও বয়সভিত্তিক মিলিয়ে ৫০ জনের মতো নারী ফুটবলার নিয়ে বাফুফের এই নারী একাডেমি। আজ (রোববার) থেকে ১০ দিনের ছুটি দেওয়া হয়েছে মেয়েদের।
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিরাপত্তা শঙ্কাতেই কি ছুটি? বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার অবশ্য বলছেন, ‘এখানে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। তারপরও মেয়েরা চেয়েছে বলেই ছুটি দেওয়া হচ্ছে। শনিবারই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল রোববার থেকে ছুটির কথা। তবে রোববার কেউ যেতে চাননি বাংলাদেশ ফুটবল আলট্রাসের বাফুফে ভবনের সামনে কর্মসূচি থাকার কারণে।’
ছুটিতে যাওয়ার সময় মেয়েরা বেতন পাবেন কিনা জানতে চাইলে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রক্রিয়া চলছে, যাওয়ার আগেই সবাই বেতন পেয়ে যাবেন।’
বাফুফের প্রধান ফটকের সামনে বাংলাদেশ আলট্রাসের ব্যানারে কাজী মো. সালাউদ্দিনের পদত্যাগ দাবি করে মার্চ টু বাফুফে কর্মসূচি পালন করাদের সঙ্গে কথা বলেছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক।
ফুটবলামোদীদের বাফুফে সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘ফুটবলপ্রেমী যারা আছেন তাদের বলতে চাই, আমাদের সামনে ৫টা টুর্নামেন্ট। সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ আছে। দলবদলের কার্যক্রমও শুরু আছে। আমরা চেষ্টা করছি দলবদলের কিছুটা সময় বাড়ানো যায় কিনা, যাতে ক্লাবগুলোর সহযোগিতা হয়। ফিফার কাছে এরই মধ্যে আবেদনও করেছি। কোনও কারণে যদি একটা মৌসুম বাতিল হয়ে যায় তাহলে ফুটবলাররা ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। তারা একটা মৌসুম খেলতে পারবে না। আপনারা সবাই ফুটবলকে ভালোবাসেন। ফুটবলকে ভালোবাসেন বলেই এসেছেন।’
সংবাদমাধ্যমকে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘বাফুফেকে নিজস্ব গতিতে চলতে দেওয়া যেন হয়। শিডিউল অনুযায়ী ২৬ অক্টোবর নির্বাচন। ফিফা সেটা অনুমোদনও করেছে। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সব সুযোগ সামনে রয়েছে। কারো যদি কোনও দাবি থাকে তারা আসুক গণতান্ত্রিকভাবেই বাফুফের দায়িত্ব নিক।’
ফুটবলের আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ প্রসঙ্গে ইমরান হোসেন তুষার বলেছেন, ‘ফিফার রিজিওনাল ম্যানেজার আছেন। ওরা সব সময় খোঁজখবর নিচ্ছেন। আমাকে জিজ্ঞাসা করেছেন, কোনও সমস্যা আছে কিনা। আমরা ইতিবাচক ফিডব্যাক দিয়েছি। আমরা এমন মনে করছি না। নিরাপত্তা নিয়ে ভাবলে ভবনের নিরাপত্তার জন্য আর্মির সহায়তা নিতাম। আমরা জানি ওরা ফুটবল ফ্যান। এখানে ভাঙচুর হলে ফুটবলের জন্য খারাপ। আমরা পিছিয়ে যাব। এগুবো না।’
আরআই/এমএমআর/জেআইএম