বাংলাদেশের জন্য প্রার্থনা আর্জেন্টাইন তারকা ফার্নান্দেজের

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:১৪ পিএম, ০৩ আগস্ট ২০২৪

বাংলাদেশে চলমান ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ এই এই বিক্ষোভ দমনে সরকারের ভূমিকার নিন্দা করছে সারা বিশ্বের মানুষ। ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি এবং অনেক হতাহতের ঘটনায় বিস্মিত পুরো বিশ্ব।

সরকার কারফিউ জারি করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। বরং, গতকাল শুক্রবার থেকে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ নতুন মাত্রা পেয়ে গেছে। এখন আর এই আন্দোলন কোটা সংস্কারে সীমাবন্ধ নেই।

ছাত্র-জনতাকে হত্যার প্রতিবাদে ছাত্রদের পাশাপাশি রাস্তায় নেমে এসেছে সারা দেশের মানুষ। অন্যদিকে সরকারও পুলিশ, র‌্যাবসহ নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী দিয়ে নৃশংসা উপায় এই আন্দোলন দমনের পথ বেছে নিয়েছে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে যখন উত্তাল পুরো বাংলাদেশ, তখন সারা বিশ্বের নজরও পড়েছে এখানে। বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের।

এরই মধে বাংলাদেশের মানুষের জন্য নিজের উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার এনজো ফার্নান্দেজ। মেসির ঘনিষ্ট এই সতীর্থ এবার কোপা আমেরিকাজয়ী দলেও ছিলেন। বাংলাদেশে চলমান সহিংস ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে একটি পোস্ট করেছেন আজ (শনিবার) বিকালের দিকে।

আন্দোলনকারীদের সরবরাহ করা লাল কাপড়ে মুখ বাধা প্রতিকৃতি পোস্ট করে এনজো লিখেছেন, ‘আমার সকল বাংলাদেশ অনুসারীদের প্রতি। তোমাদের কথা শুনি এবং তোমাদের জন্য প্রার্থনাও করি (To all my Bangladesh followers. I hear you and I also pray for you)। সঙ্গে প্রার্থনার ইমোজিসহ বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার পতাকা পোস্ট করেন তিনি।

২০২২ কাতার বিশ্বকাপের সময় বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার বিপুল সমর্থন আর্জেন্টাইনদেরও বিস্মিত করে দেয়। আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন থেকে শুরু করে মেসি-মার্টিনেজরা বাংলাদেশের সমর্থকদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তখন। এমিলিয়ানো মার্টিনেজ তো বাংলাদেশে ঘুরেও গেলেন।

এত বিপুল সমর্থক যেই দেশে, সেই দেশ আজ রক্তাক্ত, সেই দেশের মানুষ আজ গুলিতে নিহত হচ্ছে, যে কারণে এনজো ফার্নান্দেজরাও চুপ থাকতে পারলেন না আর।

আইএইচএস/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।