লাল কার্ড দেখে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়লেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার
মাস তিনেক আগে ব্রাজিলের কিংবদন্তি নারী ফুটবলার মার্তা ভিয়েইরা দ্য সিলভা ঘোষণা দিয়েছিলেন ২০২৪ সালই তার ব্রাজিলের জার্সিতে শেষ বছর। সে হিসেবে অলিম্পিক গেমসই তার শেষ বড় কোনো আসর। দুইবার রৌপ্য জিতেছে ব্রাজিল। ২০০৪ ও ২০০৮ অলিম্পিকে সেই দলের সদস্য ছিলেন মার্তা। তার আপসোস অলিম্পিকে স্বর্ণ জিততে না পারা। হয়তো প্যারিস অলিম্পিক খেলে অবসর নেওয়ার ঘোষণার পেছনে একটা লক্ষ্য লুকিয়েছিল তার মধ্যে। সে লক্ষ্য স্বর্ণ জয়ের।
গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচের একটি জিতে ও একটি হেরে বুধবার ভাগ্য নির্ধারণী লড়াইয়ে স্পেনের মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিলের মেয়েরা। জিতলেই কোয়ার্টার ফাইনাল। সমীকরণটা এমন ছিল তাদের সামনে। কিন্তু ঘটনাবহুল ম্যাচে ব্রাজিল হেরে যায় ২-০ গোলে। যে জয়ে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেন উঠে যায় কোয়ার্টার ফাইনালে। আর ব্রাজিলকে ঠেলে দেয় চরম অনিশ্চয়তায়।
ম্যাচের সবচয়ে আলোচনা ২২ বছর ধরে ব্রাজিল জাতীয় দলে খেলে আসার মার্তার লাল কার্ড। জাপানের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন মার্তা। সেটি ছিল ব্রাজিলের জার্সিতে তার ২০০তম ম্যাচ। মাইলফলক ছোঁয়া সেই ম্যাচ হেরেছিল ব্রাজিল। আর বুধবার স্পেনের কাছে হারের ম্যাচে লালকার্ড পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন পুরুষ ও নারী মিলিয়ে বিশ্বকাপে সবচয়ে বেশি গোল করা এই ফরোয়ার্ড।
গোলশূন্য প্রথমার্ধের ইনজুরি সময় স্পেনের অধিনায়ককে বিপদজনক ফাউল করেন মার্তা। রেফারি লালকার্ড দেখালে ব্রাজিলের খেলোয়াড়রা প্রতিবাদ করেন। কিন্তু রেফারি তার সিদ্ধান্তে অটল থাকলে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন ব্রাজিলের জার্সিতে ১১৯ টি গোল করা এই ফরোয়ার্ড।
সমীকরণ মিলিয়ে ব্রাজিল যদি কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে না পারে তাহলে মার্তার শেষটা হয়ে থাকবে বিষাদময়। আর ব্রাজিল কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেও ওই ম্যাচ খেলতে পারবেন না। সেমিফাইনালে উঠলে হয়তো ব্রাজিলের জার্সিতে আবার মাঠে নামার সুযোগ পাবেন ৩৮ বছর বয়সী এই তারকা ফুটবলার। তা না হলে ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটা তার খেলা হয়ে গেছে বুধবার রাতে।
আরআই/এমকেআর