অলিম্পিক খেলতে গিয়ে ডাকাতির শিকার আর্জেন্টাইন তারকা

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:২০ পিএম, ২৫ জুলাই ২০২৪

প্যারিস অলিম্পিক ২০২৪ সালের আসরে প্রথম ম্যাচেই মাঠে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। নাটকীয় ও বিতর্কিত এই ম্যাচে মরক্কোর কাছে ২-১ গোলে হেরে গেছে আলবিসেলেস্তারা।

শুধু ম্যাচ হার নয়, তার আগেও বড় বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন আর্জেন্টিনা। ম্যাচ পরবর্তী বক্তব্যে কোচ হাভিয়ের মাসচারানো জানিয়েছেন, ম্যাচের আগে ডাকাতির শিকার হয়েছেন তারকা থিয়াগো আলমাদা।

মাসচারানো বলেন, ‘গতকাল যখন তারা অনুশীলন করছিল, তখন আমরা ডাকাতির শিকার হয়েছি। এটি অলিম্পিক গেমস, কোনো প্রতিবেশি দেশের টুর্নামেন্ট নয়। এমনটা মানা যায় না। থিয়েগো আলমাদা তারা ঘড়ি, আংটি সবকিছু হারিয়েছে। এটি অলিম্পিক গেমসেই ঘটেছে! অনুশীলনের পর আমরা কিছু বলতে চাইনি।’

এই ঘটনায় আর্জেন্টাইন প্রতিনিধিরা লিও পুলিশের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সেইন্ট ইতিয়েনের নিকটবর্তী প্রসিকিউটরের কার্যালয় থেকে অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

ডাকাতির পর খেলতে নেমেও বিতর্কের মুখে পড়ে আর্জেন্টিনার ম্যাচ। যা নজর কেড়েছে পুরো ফুটবল বিশ্বের। শেষ পর্যন্ত চরম বিতর্কিত ম্যাচে আফ্রিকান দেশ মরক্কোর ২-১ গোলে হারতে হয়েছে আর্জেন্টিনাকে।

অলিম্পিক ২০২৪ সালের আসরের প্রথম ম্যাচেই কি ঘটেছিল, তা আগে জেনে নেওয়া যাক-

নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত সময় যোগ করা হয় ১৫ মিনিট। তখন মরক্কো এগিয়ে ২-১ গোলে। লম্বা একটি সময় অতিরিক্ত হিসেবে যোগ করায় ক্ষিপ্ত ছিল মরক্কোর সমর্থকরা। তাদের ধারণা, আর্জেন্টিনাকে সুবিধা দিতেই এতগুলো মিনিট অতিরিক্ত যোগ করা হয়।

ধারণা অনুসারে ১০৫ মিনিটের সময় গিয়ে, অর্থ্যাৎ খেলা শেষ হওয়ার কয়েক মুহূর্ত আগে আর্জেন্টিনার ক্রিশ্চিয়ান মেদিনা হেড করে গোল করেন। এরপরই ক্ষুব্ধ মরক্কোর সমর্থকরা মাঠে বৃষ্টির মত বোতল ছুঁড়তে শুরু করে। আতশবাজিও ফোটায়। যে কারণে ম্যাচের শেষ বাঁশি না বাজিয়েই রেফারি দুই দলের ফুটবলারদের নিয়ে মাঠ ত্যাগ করেন।

এ সময় মরক্কোর সমর্থকরা মাঠে নেমে আসে। অবস্থা বেগতিক দেখে অলিম্পিক কর্তৃপক্ষ মাঠের জায়ান্ট স্ক্রিনে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেখায়, ‘মাঠে আপনাদের সময় শেষ। সুতরাং, যে যেখানে আছেন, সেখানকার কাছাকাছি গেইট দিয়ে বের হয়ে যান।’ সমর্থকরাও ম্যাচ শেষ হয়ে গেছে মনে করে মাঠ ছেড়ে যান।

১ ঘণ্টা পর মাঠ পরিষ্কার করে আবারও দুই দলকে আনা হয় খেলার শেষ বাঁশি বাজানোর জন্য। এ সময় নিয়মানুযায়ী ভিএআর দিয়ে গোল চেক করা হয়। যেখানে দেখা যায় ব্রুনো অ্যামিওনে অফসাইডে ছিলেন। ফলে আর্জেন্টিনার গোল বাতিল করে দেন রেফারি। এর এক মিনিটের মধ্যেই খেলা শেষের বাঁশিও বাজিয়ে দেন তিনি।

রেফারির এমন অভূতপূর্ব সিদ্ধান্তের জেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী তারকা লিওনেল মেসি। আলবিসেলেস্তাদের অলিম্পিক দলের কোচ হাভিয়ের মাসচারানো এই ঘ্টনাকে কেলেঙ্কারি বলে উল্লেখ করেছেন। রেফারির এই সিদ্ধান্তের চূড়ান্ত প্রতিবাদে ফিফার কাছে অভিযোগপত্র দিয়েছে আর্জেন্টিনা।

এমএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।