বিদায় সর্বজয়ী অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:৫৬ পিএম, ১৬ জুলাই ২০২৪

* মাহাদী হোসাইন খান

তিন বছর বয়সে অত্যধিক চঞ্চলতার কারণে ডাক্তার তার বাবা-মাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, ছেলেকে ফুটবল একাডেমিতে ভর্তির জন্য। ডাক্তারের সেই পরামর্শ শুনে বাবা-মাও তাকে ফুটবলে দিয়ে দিলেন।

তিন বছর বয়সে দেওয়া ডাক্তারের সেই পরামর্শই বাজিমাত করে দিলেন সান্তা ফে প্রদেশের রোজারিও শহরে ১৯৮৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জন্ম নেওয়া শিশুটি। সেই শিশুটিই হচ্ছে আজকের অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া।

না পাওয়ার আক্ষেপে পোড়া একজন রাজার যোগ্য সেনাপতি। সেই অলিম্পিকের ফাইনালে (২০০৮ সালে) শুরু। এরপর কোপা আমেরিকা (২০২১), ফাইনালিসিমা (২০২২), বিশ্বকাপ (২০২২) সব টুর্নামেন্টের ফাইনালে গোল করার কীর্তি গড়েন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া।

কখনো মেসি-রোনালদোর মতো লাইমলাইট পাওয়া হয়নি; কিন্তু স্টারদের ছায়াতলে আপন মহীমায় জ্বলে উঠেছেন সবসময়। কখনো গোল করে বা কখনো গোল করিয়ে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল থেকে বিশ্বকাপ ফাইনাল- এমন প্লেয়ার হয়তো খুঁজেই পাওয়া দুষ্কর হবে, যা ডি মারিয়া করে দেখিয়েছেন। ম্যাচ যত কঠিন হয় ডি মারিয়া ততই নিজের আলোতে জ্বলে ওঠেন বার বার।

আপনি মেসির সমর্থক হোন বা রোনালদোর- এই প্রজন্মের দুই সেরা খেলোয়াড়ের সেনাপতির দায়িত্বে ডি মারিয়ার অবদান অস্বীকার করতে পারবেন না। পরিসংখ্যান যে মাঝে মাঝে সত্য বলে না, সেটার প্রমাণ আপনি ডি মারিয়ার পরিসংখ্যান দেখলে পেয়ে যাবেন।

ক্লাব পর্যায়ে ৭৬৭ ম্যাচে ১৭৯ গোল আর ২৬৭ অ্যাসিস্ট এবং জাতীয় দলে ১৪৪ ম্যাচে ৩১ গোল ও ৩২ অ্যাসিস্ট। এই পরিসংখ্যান দেখলে খুব সাধারণ মনে হলেও অসাধারণ সব কীর্তি গড়েছেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া।

ফুটবলে অনেক অনেক গোল অ্যাসিস্ট না করেও যে ম্যাচে ইম্প্যাক্ট রাখা যায়, সেটা ডি মারিয়া করে দেখিয়েছেন। ফুটবল ইতিহাসের সেরা, সেরা ক্লাবে খেলেছেন, জাতীয় দলে মেসিকে, ক্লাবে (রিয়াল মাদ্রিদ) রোনালদোকে সঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন। জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে গোল পেয়েছেন।

সর্বশেষ কোপা আমেরিকার শিরোপা জয় করেই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলেছেন। যদিও এবারের ফাইনালে গোল পাননি তিনি।

৩৬ বছর বয়সী ডি মারিয়ার জীবনে হয়তো অপূর্ণতা বলে কিছুই নেই। সেজন্যই হয়তো তাড়াতাড়ি বিদায় বলে আমাদের অশ্রুসিক্ত করে চলে গেলেন তিনি!

আইএইচএস/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।