সহিংসতার ঘটনায় স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষকে দোষারোপ করলো কনমেবল

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:২৩ পিএম, ১৬ জুলাই ২০২৪

গতকাল সোমবারের ঘটনা। কোপা আমেরিকার ফাইনালে মাঠে নামার জন্য প্রস্তুত আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়া। লাতিন আমেরিকার ছন্দময় ফুটবল ম্যাচ দেখার অপেক্ষায় শত শত দর্শক। তার আগেই ঘটে গেল অপ্রত্যাশিত এক ঘ্টনা। স্টেডিয়ামে টিকিট ছাড়াই জোরপূর্বক প্রবেশের চেষ্টা চালায় অনেক দর্শক। স্টেডিয়ামের নিরাপত্তাকর্মীরা বাধা দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ, আহত হয় শতাধিক মানুষ। সেই ঘটনায় ২৭ জনকে গ্রেফতারও করে মিয়ামি পুলিশ।

অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনার কারণে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর খেলা শুরু হয়। সে ঘটনায় গ্রেফতার হন কলম্বিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি রামন জেসুরান ও তার ছেলে। তবে লাতিন আমেরিকা ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা (কনমেবল) বলছে, এই ঘটনার জন্য দায়ী হার্ড রক স্টেডিয়ামের কর্তৃপক্ষ।

সেদিনের ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে কনমেবল। সংস্থা মনে করছে, হার্ড রক স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ যে ধরনের নিরাপত্তা বেষ্টনি তৈরি করার ছিল, তারা সেটি করেনি। এই ধরনের বড় আকারের ইভেন্টগুলোর জন্য সুপারিশকৃত পদ্ধতিগুলো বাস্তবায়িত হয়নি।

এক বিবৃতিতে কনমেবল বলেছে, ‘যেমনটি জানা গেছে, মিয়ামিতে ফাইনালে টিকিট ছাড়াই ভক্তরা স্টেডিয়ামের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছিলেন। এতে যারা টিকিট কেটে স্বাভাবিকভাবে স্টেডিয়ামে ঢুকতে আসছিলেন তারা বাধাগ্রস্থ হন। যা প্রবেশের গতি কমিয়ে দিয়েছিল এবং পরবর্তীতে দরজাও বন্ধ করে দিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে যা করণীয় ছিল কনমেবলের জন্য প্রযোজ্য নয়। সে নিরাপত্তার বিষয়গুলো দেখার দায়িত্ব ছিল হার্ড রক স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষের।’

সংস্থাটি আরও বলেছে, ‘নিরাপত্তা চুক্তিতে নির্ধারিত নিয়মগুলো ছাড়াও কনমেবল স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষকে পরীক্ষামূলক পদ্ধতি অনুসরণের সুপারিশ করেছিল। যা বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। আমরা দুঃখিত যে, দূষিত ব্যক্তিদের দ্বারা সৃষ্ট সহিংসতা একটি ফাইনালকে কলঙ্কিত করেছে। যাকে একটি দুর্দান্ত ক্রীড়া উদযাপনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল।’

সোমবার মিয়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে কলম্বিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে ১৬তম বারের মতো কোপা শিরোপা জিতেছে আার্জেন্টিনা। ১১২ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন লাউতারো মার্টিনেজ।

এমএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।