স্পেনের সঙ্গে এক যুগ আগের হিসাব বাকি ফ্রান্সের
ইউরোপিয়ান দুই প্রতিপক্ষ ফ্রান্স ও স্পেনের ফুটবল মাঠে প্রথম দেখা হয়েছিল ১০২ বছর আগে একটি ফিফা প্রীতি ম্যাচে। ১৯২২ সালের ওই ম্যাচ ৪-০ গোলে হেরে মাঠ ছেড়েছিল স্প্যানিশরা।
দীর্ঘ এই সময়ে দুই দেশ আন্তর্জাতিক ফুটবলে মুখোমুখি হয়েছে ৩৬ বার। জয়ের পাল্লা ভারি স্পেনের। তারা জিতেছে ১৬ ম্যাচ, ফ্রান্স জিতেছে ১৩টি। বাকি ৭ ম্যাচ ড্র।
দুই দেশের ৩৬ বারের মোকাবিলার ২৬টিই প্রীতি ম্যাচ। বাকি ১০ ম্যাচ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ, বিশ্বকাপ ও উয়েফা ন্যাশন্স লিগের। তিন বছর আগে তাদের সর্বশেষ সাক্ষাৎ হয়েছিল ন্যাশন্স কাপেই। ফ্রান্স জিতেছিল ২-১ গোলে।
তবে গত এক যুগে যে ৬ ম্যাচ খেলেছে ফ্রান্স, সেগুলোর মধ্যে ফরাসিদের মনে দগদগে আগুন হয়ে আছে ২০১২ ইউরোপ চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচটি। দারুণ ফর্মে ছিল ফ্রান্স। কিন্তু তাদের তৃতীয়বার শিরোপা জয়ের রাস্তাটি আটকে দিয়েছিল স্পেন কোয়ার্টার ফাইনালে। পোল্যান্ড ও ইউক্রেনে হওয়া ওই আসরে শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল স্পেন।
এক যুগ পর আবার ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে মুখোমুখি ফ্রান্স ও স্পেন। এবার সেমিফাইনালে। ১৯৮৪ সালে ঘরের মাঠের ইউরোর ফাইনালে এই স্পেনকে হারিয়ে প্রথম চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ফ্রান্স।
আগামীকাল (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় দুই সাবেক চ্যাম্পিয়নের একটিকে বিদায় নিতে হবে। ১২ বছর আগে কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে বিদায়ের প্রতিশোধ ফ্রান্স নিতে চাইবে তাদেরকে সেমিফাইনালে হারিয়ে।
দুই দলই কঠিন কোয়ার্টার ফাইনাল পেরিয়ে সেমির মঞ্চে। স্পেন হারিয়েছে এই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় ফেবারিট স্বাগতিক জার্মানিকে, ফ্রান্স হারিয়েছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালকে।
স্পেন অবশ্য নিজেদের সেরা দল নিয়ে মাঠে নামতে পারছে না। ইনজুরি আর কার্ড সমস্যায় জর্জিত দলটি। প্রথম একাদশের ৩ খেলোয়াড়কে ছাড়াই ফ্রান্সকে মোকাবিলা করতে হবে তাদের।
কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে ইনজুরি আক্রান্ত হয়েছেন পেদ্রি। ডেনিয়েল কার্ভাহাল এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হলুদ কার্ডের জন্য। একই কারণে খেলতে পারবেন না ডিফেন্ডার রবিন লে নরমান্ডও। এক যুগ আগের হিসাবটা মেলানোর জন্য ফ্রান্সের সামনে কিছু রাস্তা তো সহজ হয়েই আছে।
আরআই/এমএমআর/এমএস