এএফসি নারী চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
প্রথম আসরে নেই বাংলাদেশের ক্লাব, কি বলছে বাফুফে?
এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) প্রথমবারের মতো আয়োজন করছে নারী চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। এশিয়ার ২২ দেশের চ্যাম্পিয়ন ক্লাব অংশ নেবে আগামী আগস্টে।
কিন্তু মর্যাদাপূর্ন এই প্রতিযোগিতায় নেই বাংলাদেশের প্রতিনিধি। অথচ বাংলাদেশ নারী ফুটবলে দিনদিন এগিয়ে যাচ্ছে। ভারত ও নেপালকে টপকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম আসরে দক্ষিণ এশিয়ার ভারত, নেপাল ও ভুটানের ক্লাব অংশ নেবে। নেই চ্যাম্পিয়ন দেশের কোনো ক্লাব।
বাংলাদেশের কোনো ক্লাব কেন নেই এএফসি নারী চ্যাম্পিয়ন্স লিগে? প্রশ্ন করা হলে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মহিলা উইংয়ের চেয়ারপার্সন মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, `এএফসি এই লিগের জন্য আমাদের কাছে ২০২৩ সালের লিগ চ্যাম্পিয়ন দলের নাম এন্ট্রি চেয়েছিল। কিন্তু আমাদের তো ২০২৩ সালে লিগ হয়নি।
লিগ যেটা শেষ হলো সেটা ২০২৩-২৪ মৌসুমের। এএফসি নারী চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এন্ট্রির শেষ তারিখ ছিল ২ মে ২০২৪। আমাদের লিগ ২৭ এপ্রিল শুরু হয়ে শেষ হয়েছে ২৮ মে। যে কারণে আমরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোনো দলের নাম পাঠাতে পারিনি।'
অনেকে বলছেন বাংলাদেশের নারী লিগ পেশাদার নয় বলে অংশগ্রহণের সুযোগ হারিয়েছে। এ বিষয়ে কিরণের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, 'শুরুতে এমন একটা কথা ছিল। তবে পরে এএফসি পেশাদার লিগের বাধ্যবাধকতা রাখেনি। অংশগ্রহণ বাড়াতেই এএফসির এই সিদ্ধান্ত। আমরা অংশ নিতে পারছি না ২০২৩ সালে লিগ না হওয়ায়।'
আগামী ২৫ থেকে ৩১ আগস্ট হবে নারী চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রাথমিক পর্ব। যে ২২ দেশের ক্লাব অংশ নেওয়ার এন্ট্রি করেছে সেগুলোর মধ্যে র্যাংকিয়ে নিচের ১৪ দেশের ক্লাব খেলবে প্রাথমিক পর্বে। এই পর্ব হবে চার গ্রুপে ভাগ হয়ে। দুটি গ্রুপ হবে ৪ দলের ও দুটি গ্রুপ হবে ৩ দলের। র্যাংকিয়ের শীর্ষ ৮ দল সরাসরি খেলবে গ্রুপ পর্বে, ১২ দল নিয়ে যে পর্ব হবে ৬ থেকে ১২ অক্টোবর। আগামী বছর মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে হবে কোয়ার্টারফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল।
আরআই/আইএইচএস/