শেষ ম্যাচ জিতেও কোনো লাভ হলো না আর্সেনালের
লড়াইটা শেষ ম্যাচ পর্যন্ত টেনে আনতে পেরেছে, এটাই এখন বড় স্বান্তনা আর্সেনালের। একেবারে তীরে এসে তরি ডুবলো তাদের। শেষ ম্যাচে এভার্টনকে ২-১ গোলে হারিয়েও কোনো লাভ হলো না গানারদের। শিরোপা জিততে পারলো না তারা। অন্য ম্যাচে ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেডকে ৩-১ গোলে হারিয়ে টানা চতুর্থবারের মত ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতে নিয়েছে ম্যনচেস্টার সিটি।
আর্সেনালের সামনেও সম্ভাবনা ছিল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। সে জন্য শর্ত ছিল দুটি। প্রথম হলো, তাদের জিততেই হবে এভার্টনের বিপক্ষে। দ্বিতীয়ত ম্যানসিটিকে হোঁচট খেতে হবে। হয় হারতে হবে, নয়তো ড্র করতে হবে। ড্র করলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে চ্যাম্পিয়ন হতো আর্সেনালই।
প্রথম শর্ত পূরণ করতে পারলেও দ্বিতীয় শর্ত পূরণ করার ক্ষেত্রে কোনো হাত ছিল না তাদের। হলোও না। ম্যানসিটি হোঁচট খায়নি। বরং, জিতেই তারা শিরোপা উদযাপন করেছে। অন্যদিকে টানা দ্বিতীয়বারের মত শেষ মুহূর্তে এসে শিরোপা হারানোর আফসোসে পুড়তে হলো আর্সেনালকে। জিতেও দুঃখ ভারাক্রান্ত হয়ে এমিরেটস স্টেডিয়াম ত্যাগ করে গানার সমর্থকরা।
এভার্টনের বিপক্ষেও পয়েন্ট হারাতে বসেছিলো আর্সেনাল। ম্যাচের ৮৯তম মিনিট পর্যন্ত সমতা ছিল ১-১ গোলে। ওই সময়ই জার্মান তারকা কাই হাভার্টজ গোল করে আর্সেনালের জয় নিশ্চিত করেন; কিন্তু এই জয় আর কোনো কাজেই লাগলো না।
আর্সেনালের হয়ে গোল করেন জাপানি তারকা তাকেহিরো তোমিয়াশু এবং কাই হাভার্টজ। এবার্টনের হয়ে গোল করেন ইদ্রিসা গুয়ে। লিগের সব মিলিয়ে ৩৮ ম্যাচে আর্সেনালের পয়েন্ট ৮৯। সমান ম্যাচে ৯১ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো ম্যানসিটি।
৪০তম মিনিটে প্রথমে গোল হজম করে আর্সেনাল। ইদ্রিসা গুয়ে গোল করে প্রথমে এভার্টনকে এগিয়ে দেন। এরপর ৪৩ মিনিটেই গোল করে আর্সেনালকে সমতায় ফেরান। এরপর ৮৯তম মিনিটে গোল করেন কাই হাভার্টজ।
আইএইচএস/