নারী অনূর্ধ্ব-১৯ সাফের ফাইনাল

মাঠে ফেরেনি ভারত, ৩০ মিনিট পার হয়ে গেলেও অপেক্ষা

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৯:৫১ পিএম, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

টসে ভারতকে বিজয়ী করার সিদ্ধান্ত ভুল। তাই অনূর্ধ্ব-১৯ সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা কার ঘরে যাচ্ছে, সেটি এখনও নিশ্চিত হয়নি। ভারত টস বাতিরের সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ জানিয়ে মাঠ ছেড়েছে। এখনও ফেরেনি।

অথচ রেফারিরা ভারতকে ৩০ মিনিট সময় বেঁধে দিয়েছিলেন মাঠে ফেরার। এর মধ্যে না ফিরলে বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করার কথা। সেটিও করছেন না রেফারিরা। ভারতের জন্য অপেক্ষা করছেন।

মূল নাটকটা সাডেন ডেথ ঘিরে। সাডেন ডেথের নিয়ম অনুযায়ী, যতক্ষণ পর্যন্ত কোনো এক দল এগিয়ে না যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত শট নেওয়া চলতে থাকবে।

কিন্তু অনূর্ধ্ব-১৯ সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে সাডেন ডেথে স্কোর যখন ১১-১১, তখন নেপালি রেফারি অঞ্জনা রায় টাইব্রেকার চলমান রাখতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ঠিক তখন শ্রীলঙ্কার ম্যাচ কমিশনার জয়সুরিয়া সিলভা রেফারিকে ডেকে এনে টস করতে নির্দেশ দেন।

বাংলাদেশ অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার ও ভারতের অধিনায়ক নিতু লিন্ডাকে ডেকেই রেফারি কিছু বোঝার আগে টস সেরে ফেলেন। ভারতীয় খেলোয়াড়রা যখন আনন্দ উল্লাস শুরু করেন, তখন হতবাক হন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

পরে বাংলাদেশের খেলোয়াড়-কর্মকর্তারা প্রতিবাদ করলে বাইলজ ঘেঁটে রেফারিরা দেখেন, টসের নিয়ম নেই। টাইব্রেকার চলমান থাকবে। ফলে টস বাতিল করা হয়।

এই সিদ্ধান্তে আবার প্রতিবাদ জানায় ভারত। এক পর্যায়ে ভারতের কর্মকর্তারা তাদের খেলোয়াড়দের ডেকে মাঠের বাইরে নিয়ে যান। ৩০ মিনিট পার হয়ে গেলেও ভারতীয় দল মাঠে ফেরেনি।

এদিকে গ্যালারিতে এখনো অনেক দর্শক অপেক্ষা করছেন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানতে। শুরুতে বাংলাদেশ ব্যাকফুটে থাকলেও এখন ভারত 'রিফিউজ টু প্লে'র ফাঁদে পড়েছে। সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের ভাগ্যে কি আছে তা দেখতে আরো অপেক্ষা করতে হবে।

কলঙ্কজনক এ ঘটনার জন্য পুরো দায়ী শ্রীলংকান ম্যাচ কমিশনার সিলভা জয়সুরিয়া। তিনি হুট করে বাইলজবহির্ভূত সিদ্ধান্ত নিয়ে দুর্দান্ত একটি ফাইনালের বারোটা বাজিয়েছেন। স্টেডিয়ামজুড়ে একটাই আলোচনা-এমন অযোগ্য ব্যক্তি কিভাবে একটি ফাইনালের ম্যাচ কমিশনারের দায়িত্ব পান?

আরআই/এমএমআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।