মেসিকে না খেলানোয় অনুদান কেটে রাখছে সরকার

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১৬ পিএম, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

বর্তমান ফুটবলবিশ্বের সেরা তারকা লিওনেল মেসির খেলা দেখার জন্য বুকভরা প্রত্যাশা নিয়ে মাঠে এসেছিলেন হংকংয়ের দর্শকরা। টিকেট কেটে গ্যালারিতে বসেছেন ৪০ হাজার মেসিভক্ত। অধিকাংশের হাতে মেসির জার্সি নম্বর ‘১০। আবার অনেকে জার্সি গায়ে জড়িয়ে ‘মেসি, মেসি’ বলে চিৎকার করছেন।

কিন্তু দেশটির স্থানীয় লিগের বিপক্ষে আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী তারকাকে মাঠে নামাননি ইন্টার মিয়ামি কোচ। এমনকি বার্সেলোনায মেসির সতীর্থ লুইস সুয়ারেজও খেলেননি এই ম্যাচে।

যাদের জন্য দর্শকদের এত উন্মদনা সেই দুই তারকাই খেলেননি। ফলে হংকংবাসীরা হয়েছেন চরম হতাশ, গ্যালারিতে বসেই উগরে দিয়েছেন নিজেদের ক্ষোভ। যেই মেসির খেলা দেখতে এসেছিলেন তারা, সেই মেসিকেই পরে শুনিয়েছেন ধুয়োধ্বনি। এমনকি টিকেটের অর্থও ফেরত চেয়েছেন উত্তেজিত দর্শকরা।

মেসিকে কেন খেলানো হয়নি, সেই কারণে ম্যাচের আয়োজক ট্যাটলার এশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে হংকংয়ের সরকার। সরকারের পক্ষে থেকে বলা হয়েছে, আয়োজকদের যে অনুদান দেওয়ার কথা সেটা আর দেওয়া হবে না। কমানো হবে সেই অনুদান।

খেলার আয়োজকদের ১৯ লাখ ২০ হাজার ডলার প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল হংকংয়ের মেজর স্পোর্টস ইভেন্ট কমিটি (এমএসইসি)। এর মধ্যে ১০ লাখ ডলার দেওয়া হয়েছে শুধু মাঠের জন্য। এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছ সংস্থাটি।

এমএসইসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মেসি আজকের ম্যাচে না খেলায় সরকার এবং সমস্ত ফুটবল ভক্তরা চরম হতাশ। সমস্ত ফুটবল ভক্তদের একটি ব্যাখ্যা আয়োজকদের দেওয়া বাধ্যতামূলক। এমএসইসি নিয়ম ও শর্তাবলী অনুসারে সংগঠকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যার মধ্যে তহবিলের পরিমাণ কমানো হবে অন্যতম পদক্ষেপ।’

তবে আয়োজকরা জানিয়েছেন, মেসি যে খেলবেন না, এটি তারাও জানতো না। তারা আশা করেছিলেন, মেসি এবং সুয়ারেজ দুইজনেই খেলবেন। কিন্তু দুই তারকা মাঠে না নামায় আয়োজকরাও হতাশ।

ক্লাব ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলতে তিন দিনের সফরে হংকং এসেছিলেন মেসি। তবে হংকংয়ের দলটির বিপক্ষে তিনি না খেললেও তার দল ইন্টার মিয়ামি ম্যাচটি জিতেছে ৪-১ গোলে।

এমএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।