এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলতে ভারতে আসবেন নেইমার
কাঁড়ি কাঁড়ি টাকার বিনিময়ে ইউরোপ থেকে তারকাদের নিয়ে আসার পর সৌদি ক্লাবগুলোর চোখ এখন শুধু নিজ দেশের ফুটবলে সাফল্য অর্জন করার দিকেই নিবদ্ধ নয়, তাদের চোখ এখন গিয়ে পড়েছে মহাদেশীয় ক্লাব শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা অর্জনের পাশাপাশি ক্লাবগুলোর বিশ্বকাপ জয়ের দিকেও।
আপাতত সৌদি ক্লাবগুলোর সামনে এখন হাতছানি দিচ্ছে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আদলে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন ক্লাবগুলোকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এই লিগ। প্রতিবছরই নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয় এই লিগ। কিন্তু এবার নেইমার, রোনালদো, বেনজেমা কিংবা সাদিও মানেদের উপস্থিতির কারণেই সবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ঠাঁই করে নিয়েছে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ।
বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হলো এই লিগের ড্র। যেখানে গ্রুপ ‘ডি’ তে পড়েছে ভারতীয় ক্লাব মুম্বাই সিটি পড়েছে নেইমারের ক্লাব আল আহলির সঙ্গে। সুতরাং, লিগের নিয়ম অনুসারে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ের ভিত্তিতে ভারতের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ খেলতে আসতে হবে ব্রাজিল তারকা নেইমারকে।
কে কোন গ্রুপে?
আজ অনুষ্ঠিত হলো এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ পশ্চিমাঞ্চলের ড্র। মোট ২০টি দলকে ভাগ করা হয়েছে ৫টি গ্রুপে। ১৯শে সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে এই টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বের খেলা। তবে পূর্ণাঙ্গ সূচি এখনও তৈরি হয়নি। যে কারণে ‘ডি’ গ্রুপের অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে কখন নেইমারের আল আহলি মুম্বাই আসবে, সেটা জানা যায়নি।
‘ডি’ গ্রুপে আল আহলি এবং মুম্বাই সিটির মুখোমুখি হবে ইরানের ক্লাব আল নাস্সাজি মাজানদারান এবং উজবেকিস্তানের ক্লাব পিএসসি নাভবাহর নামানগান।
রোনালদোর আল নাসর পড়েছে ‘ই’ গ্রুপে। যেখানে খেলবে ইরানিয়ান ক্লাব পার্সেপোলিস, কাতারি ক্লাব আল দুহাইল এবং তাজিকিস্তানের ক্লাব আল ইস্তিকলল।
করিম বেনজেমার ক্লাব আল ইত্তিহাদ খেলবে ‘সি’ গ্রুপে। তাদের প্রতিপক্ষ ইরানের সেপাহান এসসি, ইরাকের এয়ার ফোর্স ক্লাব। ‘এ’ গ্রুপে রয়েছে উজবেকিস্তানের পাখতাকর, সৌদি আরবের আল ফাহিয়া, তুর্কমেনিস্তানের ক্লাব আহাল এফসি এবং আবুধাবির ক্লাব আল আইন।
‘বি’ গ্রুপে রয়েছে কাতারের ক্লাব আল সাদ, উজবেকিস্তানের নাসাফ কুরশি, জর্দানিয়ান ক্লাব আল ফয়সাল, আরব আমিরাতের ক্লাব শারজাহ।
কতটা শক্তিশালী আল-আহলি
নেইমারের ক্লাব আল আহলি এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিহে সবচেয়ে বেশি চারবার চ্যাম্পিয়ন (১৯৯১, ২০০০, ২০১৯ এবং ২০২১)। এছাড়া সর্বোচ্চ ৫বার হয়েছে তারা রানারআপ। গতবারও তারা ফাইনাল খেলেছিলো। যদিও শিরোপা ধরে রাখতে পারেনি। এছাড়া সৌদি আরবের ঘরোয়া ফুটবলে সর্বোচ্চ ১৮বার চ্যাম্পিয়ন এই দলটি।
এবারের দলবদলে ইউরোপ থেকে একঝাঁক ফুটবলার নিয়ে এসেছে তারা। নেইমারের সঙ্গে কালিদু কৌলিবালি, ইয়াসিন বোনো, রুবেন নেভেস, সার্জেই মিলিনকোভিক-সাভিক এবং আলেকজান্ডার মিত্রোভিকের মত ফুটবলার। এছাড়া স্থানীয় ফুটবলারদের মধ্যে সালেম আল দাওসারি, সালেহ আল সেহরি (দু’জনই বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে গোল করেছিলেন) এবং সালমান ফারাজ।
আইএইচএস/