‘ফুটবলের জন্য আর্মির চাকরি ছেড়েছি’

রফিকুল ইসলাম
রফিকুল ইসলাম রফিকুল ইসলাম , বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১১:৩০ এএম, ২৭ জুলাই ২০২৩

জাতীয় দলের সাবেক গোলরক্ষক নিজাম মজুমদারের হাত ধরে আবাহনীর যুব দলে ট্রায়াল দিতে ২০১৫ সালে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় এসেছিলেন মো. সোহেল রানা। একই সময়ে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ট্রায়াল দিয়ে টিকে গিয়েছিলেন। চাকরিও হয়েছিল।

তবে বেশিদিন চাকরি করেননি, ফুটবলের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ছেড়েছেন। ২৭ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার এখন জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য। নজর কেড়েছেন সর্বশেষ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে।

আবাহনী ছেড়ে এবার যোগ দিচ্ছেন বসুন্ধরা কিংসে। জাতীয় দলে খেলা, নতুন দল বেছে নেওয়া এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

জাগো নিউজ: সদ্য সমাপ্ত ফুটবল মৌসুম কেমন কাটলো? নিজের পারফরম্যান্সে কি তৃপ্ত?

সোহেল রানা: পারফরম্যান্সে তৃপ্ত নই। কারণ, নিজের মতো করে খেলতে পারিনি।

জাগো নিউজ: আবাহনী ছেড়ে বসুন্ধরায় যাচ্ছেন। সেখানে তো আরো চ্যালেঞ্জ। খেলার সুযোগ পাওয়াটাও তো কঠিন হতে পারে।

সোহেল রানা: সে রকম কোনো শঙ্কা করছি না। কারণ, আমাকে ফাইট করেই দলে জায়গা করে নিতে হবে। তা নাহলে দেশের সেরা মিডফিল্ডার হবো কি করে?

জাগো নিউজ: বেশি টাকার লোভে বড় দলে গিয়ে অনেকে বেঞ্চে বসে থাকেন।

সোহেল রানা: আমি টাকার জন্য ক্লাব বদলাইনি। আমি খেলার জন্য যাচ্ছি। তাছাড়া চ্যাম্পিয়ন দলে খেলার একটা স্বপ্নও ছিল।

জাগো নিউজ: আপনিতো বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন। ছাড়লেন কেন?

সোহেল রানা: আসলে আমি ফুটবলের জন্যই চাকরি ছেড়েছি। সেনাবাহিনীতে থাকা অবস্থায় প্রথম রহমতগঞ্জে খেলেছিলাম। অনেক সমস্যা হয়েছে। অনেক নিয়ম-কানুন ফলো করতে হয়। তাই চট্টগ্রাম আবাহনীতে যোগ দেওয়ার আগে চাকরি ছেড়ে দেই।

জাগো নিউজ: জাতীয় দলে আপনার কবে অভিষেক হয়েছিল?

সোহেল রানা: গত বছর কম্বোডিয়া ও নেপাল সফরের সময়। কম্বোডিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ খেললেও নেপালের বিপক্ষে খেলতে পারিনি ইনজুরির কারণে।

জাগো নিউজ: সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সব ম্যাচ খেলেছেন। আগামীতে লক্ষ্য কি?

সোহেল রানা: জাতীয় দলে জায়গাটা ধরে রাখাই আমার প্রধান লক্ষ্য। এ জন্য আমাকে আরো পরিশ্রম করতে হবে।

জাগো নিউজ: ধন্যবাদ।
সোহেল রানা: আপনাকেও ধন্যবাদ।

আইএইচএস/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।