ফ্রান্স-মরক্কো লড়াই: পরিসংখ্যান কী বলছে?
কাতার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আজ (বুধবার) মুখোমুখি হচ্ছে ফ্রান্স আর মরক্কো। আল বায়েত স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়।
দুই দলের মধ্যে কাদের জেতার সম্ভাবনা বেশি? পরিসংখ্যান বলছে, ধারে ভারে মরক্কোর থেকে যোজন যোজন এগিয়ে গতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। আন্তর্জাতিক ম্যাচে উত্তর আফ্রিকার দেশের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত অপরাজিত ফরাসিরা।
তবে দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দিয়ে ইতিহাসগড়া মরক্কোর এবারের দলটি একটু ভিন্ন। এখন পর্যন্ত এই বিশ্বকাপে তাদের জালে একবার বলও জড়াতে পারেনি প্রতিপক্ষ। একটি গোল হয়েছিল, সেটি আত্মঘাতী।
ম্যাচের আগে দেখে নিন দুই দলের বেশ কিছু পরিসংখ্যান
* আন্তর্জাতিক ম্যাচে মরক্কোর বিপক্ষে একবারও হারেনি ফ্রান্স। দুই দলের সর্বশেষ সাক্ষাৎ হয়েছিল ২০০৭ সালে। প্যারিসে প্রীতি ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়।
* ষাট, সত্তর ও আশির দশকে আনঅফিসিয়াল ম্যাচও খেলেছিল ফ্রান্স ও মরক্কো। প্রথম দেখা ১৯৮৮ সালে, যেখানে ২-১ গোলে জিতেছিল ফরাসিরা।
* বিশ্বকাপে প্রথমবার মুখোমুখি হতে চলেছে ফ্রান্স ও মরক্কো। অফিসিয়াল আন্তর্জাতিক ম্যাচে এখন পর্যন্ত দুই দল পাঁচবার পরস্পরের বিরুদ্ধে খেলেছে। সেখানে তিনটি ম্যাচ জিতেছে ফ্রান্স। দুটি ম্যাচ অমীমাংসিতভাবে শেষ হয়েছে।
* কাতার বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচে পাঁচ গোল করেছেন কিলিয়ান এমবাপে। ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপে চার গোল করেছিলেন ২৩ বছরের এই স্ট্রাইকার। এবার নিজের সেই রেকর্ড ছাপিয়ে গেছেন। কাপ যুদ্ধের মঞ্চে ১২ ম্যাচ খেলে এমবাপের মোট গোল ৯টি।
* মরক্কোর বিশ্বকাপ অভিষেক ১৯৭০ সালে। উত্তর আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে প্রথমবার নকআউটে গিয়েছিল মেক্সিকোতে আয়োজিত ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে। তবে এই প্রথমবার আফ্রিকার দল হিসেবে সেমিফাইনাল খেলতে নামবে আশরাফ হাকিমি-ইয়াসিন বোনোরা।
* কোনো দলকে বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে তোলা প্রথম আরব কোচ হলেন ওয়ালিদ রেগরাগুইয়। গত সেপ্টেম্বরে মরক্কোর দায়িত্ব নেন তিনি। তার কোচিংয়ে এখন পর্যন্ত আট ম্যাচ খেলে অপরাজিত উত্তর আফ্রিকার এই দল।
* ১৯৩০ সালে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী আসরে সুযোগ পেয়েছিল ফ্রান্স। এই কাপ যুদ্ধের মঞ্চে মোট ১৬ বার খেলছে দুইবার শিরোপা জেতা দলটি।
* ১৯৯৮ সালের পর ২০১৮ সালে বিশ্বকাপ জিতেছিল ফ্রান্স। টানা দু'বার বিশ্বকাপ জেতার হাতছানি ফ্রান্সের সামনে রয়েছে। এর আগে ইতালি (১৯৩৪ ও ১৯৩৮) ও ব্রাজিল (১৯৫৮ ও ১৯৬২) পরপর দু'বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপের পর এবার কাতারে দিদিয়ের দেশমের দল কাপ জিতলে, ইতালি ও ব্রাজিলের রেকর্ডকে ছুঁয়ে ফেলবেন এমবাপেরা।
* মরক্কোর জালে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিপক্ষ বল পাঠাতে পারেনি। চলতি প্রতিযোগিতায় মরক্কো একমাত্র গোল হজম করেছিল কানাডার বিপক্ষে, সেই গোলটি ছিল আত্মঘাতী। ওই ম্যাচে ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল মরক্কো।
এমএমআর/জেআইএম