মাঠে খেলার উত্তেজনা, ডাগআউটে দুই কোচের মারামারি (ভিডিও)

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:১৩ পিএম, ১৫ আগস্ট ২০২২

সুপার সানডের সুপার রোমাঞ্চ যাকে বলে! রোববার রাতে চেলসি আর টটেনহ্যাম হটস্পারের ম্যাচে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে যেন পরিণত হয়েছিল রণক্ষেত্রে। মাঠের লড়াইয়ে মেজাজ হারালেন ফুটবলাররা। ডাগআউটে সেই উত্তেজনার আগুনে ঘি ঢাললেন দুই কোচ।

দিনশেষে ২-২ ড্র হওয়া ম্যাচ ছাপিয়ে আলোচনায় দুই কোচের মারামারি। টটেনহ্যামের অ্যান্তোনিও কন্তে আর টমাস টুখেল যে লড়াইটা নিয়ে গেলেন ব্যক্তিগত পর্যায়ে। দুজনই পেলেন লাল কার্ড। ম্যাচের পরও বৈরিতাটা রয়েই গেলো।

ম্যাচের পর টটেনহ্যাম কোচ কন্তে তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে টুখেলের গোল উদ্যাপনের একটি ছবি পোস্ট করেন। যাতে তিনি লিখেছেন, ‘তোমার ভাগ্য ভালো যে আমি তোমাকে দেখিনি। ল্যাং মেরে তোমাকে ফেলে দেওয়াই হতো যথোপযুক্ত কাজ।’

যদিও সংবাদ সম্মেলনে ভদ্রতা দেখিয়ে দুই কোচই নিজেদের দ্বন্দ্বটা চেপে রাখলেন। কন্তে বলেন, ‘রেফারি আমাকে লাল কার্ড দেখিয়েছেন। কিন্তু তিনি পরিস্থিতির মাহাত্ম বুঝতে পারেননি, তবে আমি মেনে নিয়েছি। আবারও বলছি, এটা বড় কোনো সমস্যা নয়। কোনো সমস্যা থেকে থাকলে সেটা আমার এবং অপর কোচের মধ্যে।’

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মজা করে নিজের পেশী দেখিয়ে টুখেল বলেন, ‘আমরা দুজনই লাল কার্ড দেখেছি। এর দরকার ছিল না। কোনো সমস্যা নেই। এটা ফুটবল, এটা প্রিমিয়ার লিগ। আমরা টাচলাইনে একটু আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়েছিলাম।’

কী হয়েছিল তাদের মধ্যে?
উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচের ১৯তম মিনিটে এগিয়ে যায় চেলসি। দ্বিতীয়ার্ধে ৬৮ মিনিটে সমতায় ফেরে টটেনহ্যাম। ওই সময় আগ্রাসী উদযাপন করতে করতে চেলসির ডাগ আউটের দিকে ছুটে যান কন্তে। তেড়ে আসেন টুখেলও। তখনই প্রায় হাতাহাতির উপক্রম হয়েছিল। রেফারি হলুদ কার্ড দেখিয়ে শান্ত করেন দুজনকে।

ভালোয় ভালোই ম্যাচটা শেষ হয়েছিল। তবে নাটক তখন আরও বাকি! ম্যাচের পর নিয়মমতো করমর্দন করবেন দুই দলের খেলোয়াড়, কোচ। কন্তে আর টুখেল করমর্দনের সময় হ্যাঁচকা টান দিয়ে বসলেন। কে কাকে টান দিয়েছেন, অবশ্য পরিষ্কার বোঝা যায়নি।

তবে পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে পড়ে, রীতিমত মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন দুই কোচ। বাকিরা এসে তাদের কোনোমতে আলাদা করেন। রেফারি দুই কোচকেই এবার লাল কার্ড দেখান।

ম্যাচের পর ওই ঘটনা নিয়ে টুখেল বলেন, ‘আমার জানা মতে, করমর্দনের সময় পরস্পরের চোখের দিকে তাকানোই ভদ্রতা। কিন্তু তার ভাবনা হয়তো ভিন্ন কিছু ছিল… এটা খুব জরুরি ছিল না, তবে অনেক কিছুই জরুরি ছিল না।’

কন্তেও এড়িয়ে যেতে চাইলেন ঘটনাটা, ‘আবারও বলছি, এটা নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। কোনো সমস্যা হয়ে থাকলে সেটা তার ও আমার মধ্যে। অন্যদের ভাবার দরকার নেই।’

বোঝাই যাচ্ছে, গণমাধ্যমের সামনে প্রকাশ না করলেও দ্বন্দ্বটা ব্যক্তিগত পর্যায়েই চলে গেছে দুজনের মধ্যে। এর রেশ কতদিন চলে, সেটাই এখন দেখার!

এমএমআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।