বেনজেমার হ্যাটট্রিকে সেমির পথে রিয়াল মাদ্রিদ
ফর্মের চূড়ায় থাকা হয়তো একেই বলে। তাই তো পরপর দুই ম্যাচে করলেন হ্যাটট্রিক, তাও কি না উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো মঞ্চে। বলা হচ্ছে, ফরাসি তারকা করিম বেনজেমার কথা। যার টানা দ্বিতীয় হ্যাটট্রিকে সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে রাখলো রিয়াল মাদ্রিদ।
বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচে বেনজেমার হ্যাটট্রিকে চেলসিকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাবটি। আগামী মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এই ব্যবধান উল্টে না গেলে রিয়ালই খেলবে সেমিফাইনালে।
চেলসির ঘরের মাঠ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে হওয়া ম্যাচটিতে দুই দলই লড়েছে সমানে সমান। আক্রমণের ধাঁরে বরং এগিয়েই ছিল চেলসি। তবে ভুগতে হয়েছে ফিনিশিং ব্যর্থতা ও রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়ার গড়া দেয়ালের সামনে।
পুরো ম্যাচে ২০টি শটের মধ্যে পাঁচটি লক্ষ্যে রেখেও একটির বেশি গোল পায়নি চেলসি। অন্যদিকে বেনজেমার দুর্দান্ত ফর্মের পূর্ণ ফায়দাই পেয়েছে রিয়াল। সারা ম্যাচে গোলের ৮টি শট করে তারা। যার মধ্যে ৫টি ছিল লক্ষ্য বরাবর এবং তিনটিই ঢুকেছে চেলসির জালে।
শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচেও প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন বেনজেমা। তার সেই তিন গোলের সুবাদেই মূলত কোয়ার্টারে ওঠে রিয়াল। এবার শেষ আটের প্রথম লেগেও হ্যাটট্রিক করে দলকে সেমির সুবাস পাইয়ে দিয়েছেন এ ফরাসি স্ট্রাইকার।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি আসরে এখন পর্যন্ত বেনজেমার গোল হয়েছে ১১টি। যা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এক আসরে ফ্রান্সের ফুটবলারদের করা সর্বোচ্চ গোল। প্রায় ৬৪ বছর আগে ১৯৫৮-৫৯ মৌসুমে জাস্ট ফন্টেইন করেছিলেন ১০ গোল। সেই রেকর্ড ভাঙলেন বেনজেমা।
দলকে দারুণ এক জয় এনে দেওয়া ম্যাচে বেনজেমার গোল তিনটি হয়েছে যথাক্রমে ২১, ২৪ ও ৪৬ মিনিটে। ম্যাচের ২১ ও ২৪ মিনিটে পরপর দুই গোল করেই মূলত চেলসিকে হতভম্ব করে দেন বেনজেমা। এ দুই গোলের এসিস্ট ছিল ভিনিসিয়াস জুনিয়র ও লুকা মদ্রিচের।
বিরতির মিনিট পাঁচেক আগে কাই হাভার্জের গোলে ব্যবধান কমায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এই গোলের এসিস্ট করেন জর্জিনহো। দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে প্রথম মিনিটেই চেলসির গোলরক্ষক মেন্ডির ভুলে সুযোগ পেয়ে হ্যাটট্রিক ও দলের জয় নিশ্চিত করে দেন বেনজেমা।
এসএএস/এএসএম