ব্যালন ডি অরে ভোট দিতে পারবে না বাংলাদেশ
বাংলাদেশের কোনো ফুটবলার কিংবা কোচ কখনও ব্যালন ডি অর মঞ্চে উঠতে পারবেন কি না, সেটি ভবিষ্যতের ব্যাপার। তবে প্রতি বছরই ফুটবলের এই মর্যাদার পুরস্কারে অংশগ্রহণ থাকে বাংলাদেশের। ব্যালন ডি অর কে জিতবেন- সেই ভোট দিতে পারেন বাংলাদেশের নির্দিষ্ট সাংবাদিক।
কিন্তু চলতি বছরের ব্যালন ডি অর থেকে আর ভোট দেওয়া হবে না বাংলাদেশের কোনো প্রতিনিধির। আন্তর্জাতিক ফুটবলে জাতীয় দলের নাজুক অবস্থানের কারণেই মূলত হারাতে হয়েছে এই অধিকার বা সম্মান। যা ফিরে পেতেও লেগে যাবে অনেক সময়।
ফ্রান্সের ফুটবলভিত্তিক ম্যাগাজিন ফ্রান্স ফুটবল ১৯৫৬ সাল থেকে ব্যালন ডি অরের মাধ্যমে বছরের সেরা ফুটবলারকে পুরস্কৃত করে আসছে। তারাই এবার নিজেদের নিয়মে এনেছে চারটি পরিবর্তন। এর মধ্যে তিন নম্বর নিয়মটি হলো ভোটিং নিয়ে।
ব্যালন ডি অরের প্রথম বছরে মাত্র ১৬ জন সাংবাদিক ভোট দিয়েছিলেন। যা বাড়তে বাড়তে সবশেষ বছরে হয়েছে ১৭০ জন। তবে এখন থেকে আর এতো বেশি সাংবাদিকের ভোটাধিকার রাখা হচ্ছে না। এই সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে ১০০-তে।
২০২২ সালে পুরুষদের ব্যালন ডি অরে ভোট দিতে পারবেন ফিফা র্যাংকিংয়ের সেরা ১০০-তে থাকা দেশগুলোর সাংবাদিক। নারীদের ব্যালন ডি অরে সেরা ৫০ দেশের সাংবাদিকই শুধু প্রয়োগ করতে পারবেন নিজেদের ভোটাধিকার।
এই নিয়মের কারণেই মূলত বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশের পক্ষে ব্যালন ডি অরে ভোট দেওয়া হবে না। কারণ ফিফা র্যাংকিংয়ের সবশেষ আপডেটে সেরা একশতে নেই দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশ। বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৬তে।
অবশ্য মৌসুম শেষ হতে হতে ১০৪ নম্বরে থাকা ভারত যদি সেরা একশতে ঢুকতে পারে, তাহলে তারাও পাবে ভোটাধিকার। কিন্তু ১৮৬ নম্বরে থাকা বাংলাদেশের পক্ষে সহসাই সেরা একশতে ঢোকা সম্ভব হবে না, তা হলফ করে বলেই দেওয়া যায়।
ব্যালন ডি অরে বদল আসা অন্য তিনটি নিয়ম হলো- বিবেচ্য সময়ের পরিবর্তন, সংক্ষিপ্ত তালিকায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, পরিষ্কার নিয়ম।
এতদিন ধরে ব্যালন ডি অর দেওয়া হতো বছরের হিসেবে। অর্থাৎ আগের মৌসুমের জানুয়ারি থেকে জুলাই এবং নতুন মৌসুমের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পারফরম্যান্স বিবেচনায় আনা হতো। এখন থেকে বিবেচনায় থাকে এক মৌসুমের পারফরম্যান্স। অর্থাৎ আগস্ট থেকে জুলাই পর্যন্ত সময়।
ব্যালন ডি অরের সংক্ষিপ্ত তালিকা করার কাজটি এতোদিন ধরে করতেন ফ্রান্স ফুটবলের সাংবাদিকরা। তবে এখন থেকে এই পুরস্কারের দূত হিসেবে কাজ করা দিদিয়ের দ্রগবা থাকবেন সংক্ষিপ্ত তালিকা বাছাইয়ের কাজে।
পাশাপাশি গত কয়েক বছরে ভোটে ভালো পর্যবেক্ষণশক্তি দেখানোয় ছেলেদের ক্ষেত্রে ভিয়েতনামের সাংবাদিক থ্রুং আন এনগোচ এবং মেয়েদের ফুটবলে চেক প্রজাতন্ত্রের ক্যারোলিনা হ্লাভাচকোভার কাছ থেকে নেওয়া হবে নাম। সবার কাছ থেকে পাওয়া নাম থেকে চূড়ান্ত তালিকা দেওয়া হবে।
সবশেষ নিয়মটি হলো পুরো বিষয়টি পুরস্কার করে জানানো। তা হলো, ব্যালন ডি অর একজন ফুটবলারের ব্যক্তিগত পুরস্কার। তাই প্রথমেই বিবেচ্য খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত অর্জন। এরপর পর্যায়ক্রমে দলীয় অর্জন, খেলোয়াড়ি স্পিরিট বিবেচনায় আনা হবে।
এসএএস/এমএস