ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘুমিয়েও বিশ্ব ফুটবল মাতাচ্ছেন তিনি
তার নাম এনগোলো কান্তে। তবে সবসময় তাকে দেখা যায় হাসিমুখে। যেকোনো পরিস্থিতিতে মুখে একটা হাসি লেগেই থেকে ইংলিশ ক্লাব চেলসির ফরাসি মিডফিল্ডারের। শুধু হাস্যোজ্জ্বল মুখই নয়, নিজের খেলা দিয়েও ফুটবলপ্রেমীদের মন জয় করে নিয়েছেন কান্তে।
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের সবশেষ আসরে চেলসির শিরোপা জেতার পেছনে বড় অবদান ছিল কান্তের। ২০১৮ সালে ফ্রান্সকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করার পথেও সামনে থেকে পারফর্ম করেছিলেন তিনি। ওয়ার্করেট ও ডিফেন্সিভ স্কিলের কারণে অনেকেই তাকে বিশ্বের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার হিসেবে মূল্যায়িত করেন।
আর কান্তের এমন পারফরম্যান্সের পেছনে কি না রয়েছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘুমিয়ে কাটানোর অবদান। অবাক শোনালেও চেলসির কোচ থমাস টুখেলই জানিয়েছেন এমনটা। তার মতে, যতটা কঠিন পরিশ্রম মাঠে করেন কান্তে, তার চেয়েও ভালোভাবে বিশ্রাম নেন তিনি। যে কারণে মাঠে এতো ভালো খেলতে পারেন।
ফ্রেঞ্চ তারকার ব্যাপারে টুখেলের মূল্যায়ন, ‘আমি যখন বলি তখন সে (কান্তে) মাঠে নিজের কাজের মুড অন করে। এরপর মাঠের বাইরে পুরোপুরি সুইচ অফ অবস্থায়ই থাকে। সে খুবই শান্ত এবং সবসময় লাজুক। কয়েক রাউন্ড দাবা খেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘুমিয়ে থাকতে পারে এবং নিজের বিশ্রাম নিতে পারে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘তো মূল বিষয়টা হলো, সে যতটা কঠিন পরিশ্রম করে তেমনই কঠিনভাবে বিশ্রাম নেয়। হয়তো এটিই তার সাফল্যের রহস্য। সে খুবই বিনয়ী এবং শান্ত, তাকে পাওয়া সত্যিই খুব ভালো বিষয়। নিজের সেরা অবস্থায় ইনজুরিমুক্ত এবং মানসিকভাবে ঠিক থাকলে তার ইমপ্যাক্ট অনেক বেশি।’
চেলসির কোচের মতে, কান্তেকে দলে পাওয়া মানে দেড়জন খেলোয়াড় নিয়ে খেলতে পারা। কান্তের উপস্থিতিতে সবসময় অর্ধেক খেলোয়াড় বেশি পাওয়া যায় বলে মনে করেন টুখেল। এমনকি মাঝেমধ্যে মাঠে দুজন কান্তে খেলছেন বলে অনুভব করেন এ জার্মান কোচ।
তার ভাষ্য, ‘কান্তে অনেকটা দেড়জন খেলোয়াড়ের মতো। সে কমপক্ষে আধা খেলোয়াড় বেশি। আমাদের মনে হয় দুজন কান্তে খেলছে মাঠে। একজন আক্রমণভাগে, আরেকজন রক্ষণভাগে। সে সবসময় সবাইকে সাহায্য করে এবং তার আশপাশে থাকা সবাইকে অনেক আত্মবিশ্বাস দেয়। তাকে স্কোয়াডে পেয়ে আমি খুব খুশি।’
এসএএস/জেআইএম