ফুটবলে আবারও হতাশা, মনোযোগের অভাব দেখছেন নতুন কোচ
চার জাতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলতে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ড্র-ই যথেষ্ট ছিল বাংলাদেশের জন্য। প্রথমার্ধে পেনাল্টি মিসের পরও দ্বিতীয়ার্ধে জুয়েল রানার গোলে সেই ড্রয়ের পথেই ছিলেন জামাল ভূঁইয়ারা।
কিন্তু ম্যাচের ৯০ মিনিটে গিয়ে পেনাল্টি থেকে গোল হজম করে হারতে হয়েছে ম্যাচ, শেষ হয়ে গেছে ফাইনাল খেলার স্বপ্ন। আরও একবার হতাশা দিয়েই শেষ হলো বাংলাদেশ ফুটবল দলের মিশন।
অথচ ফিফা র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অনেক নিচে শ্রীলঙ্কা। সম্প্রতি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপেও তাদের বিপক্ষে জিতেছিলেন জামাল-জুয়েল-তপুরা। সেখানেও নেপালের বিপক্ষে ম্যাচে শেষ সময়ে গোল হজম করে শেষ হয়ে যায় ফাইনাল খেলার আশা।
এর পেছনে ফুটবলারদের মনোযোগের কমতি দেখছেন এবারের সফরে জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব পালন করা মারিও লেমোস। তার মতে, শেষ দিকে গিয়ে যেমন অ্যাটিচ্যুড নিয়ে খেলা উচিত ছিল বাংলাদেশের, তা পারেনি খেলোয়াড়রা।
ম্যাচ শেষে ৩৫ বছর বয়সী এ কোচ বলেছেন, ‘(আমার মতে) এটা মনোযোগের কমতি। সত্যি বলতে শেষ মুহূর্তে আমার মনে হচ্ছিল কিছু একটা হতে যাচ্ছে। আমরা স্রেফ থেমে গিয়েছিলাম, ভেবেছিলাম আমরা জিততে যাচ্ছি। সেই মুহূর্তে গোলটা হলো।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘শ্রীলঙ্কা গোলের জন্য মরিয়া ছিল এবং ঐ সময় আমাদের অ্যাটিচ্যুড যেমন হওয়ার কথা ছিল, তেমন ছিল না। আমরা স্রেফ দেখছিলাম এবং ম্যাচ শেষের অপেক্ষা করছিলাম। যখন আপনি শেষ মুহূর্তে এমন কিছু করবেন, তখন হারবেন।’
টুর্নামেন্টের আগের দুই ম্যাচের মধ্যে সিসেলসের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ, তবে জিতেছিল মালদ্বীপের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচটি। কিন্তু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একের পর এক সুযোগ তৈরি করেও শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি। লেমোসের মতে, এই ম্যাচটিই সবচেয়ে খারাপ খেলেছে বাংলাদেশ।
তার ভাষ্য, ‘তিন ম্যাচের মধ্যে আজকেই আমাদের পারফরম্যান্স ছিল সবচেয়ে বাজে। আজ আমাদের সবার এগিয়ে আসার প্রয়োজন ছিল, কিন্তু আমাদের মধ্যে ছিল জড়তা। এ কারণে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা চাপের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারিনি।’
এসএএস/এমএস