বার্সেলোনার দেওয়া দুঃখ এখনও ভোলেননি সুয়ারেজ

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:২২ এএম, ০১ অক্টোবর ২০২১

স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার সঙ্গে বিচ্ছেদটা একদমই ভালো ছিলো না উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজের। দুই পক্ষের মধ্যে সম্পর্কের তিক্ততা দিয়েই শেষ হয়েছে সুয়ারেজের বার্সেলোনা অধ্যায়। যা এখনও ভোলেননি বিশ্বের অন্যতম সেরা এই স্ট্রাইকার।

২০১৪ সালে ইংলিশ ক্লাব লিভারপুল থেকে বার্সায় নাম লিখিয়েছিলেন সুয়ারেজ। পরে ২০২০ সালে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে যোগ দেয়ার আগে বার্সার হয়ে জিতেছেন চারটি লা লিগা ও একটি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা।

বার্সার জার্সি গায়ে ২৮৩ ম্যাচে ১৯৫ গোল ও ১১৩টি এসিস্টও করেছেন সুয়ারেজ। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও লিওলেন মেসির সঙ্গে টেক্কা দিয়ে দুইবার জিতেছেন সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার। সবমিলিয়ে সাফল্যমণ্ডিতই ছিলো তার বার্সা ক্যারিয়ার।

কিন্তু সুয়ারেজকে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কাছে বিক্রি করে দেয়ার আগে দুর্ব্যবহারই করেছে বার্সা টিম ম্যানেজম্যান্ট। বিশেষ করে ক্লাবের শেষ দিনগুলোতে একা একা অনুশীলন করতে হয়েছে তাকে। কোচের পক্ষ থেকে সরাসরি বলে দেয়া হয়েছিল, তিনি দলের পরিকল্পনায় নেই।

পরে অ্যাটলেটিকোতে যোগ দিয়ে উদ্ভাসিত পারফরম্যান্সই উপহার দিয়েছেন সুয়ারেজ। তার নৈপুণ্যেই দীর্ঘ ছয় মৌসুম পর লা লিগার শিরোপা জিতেছে অ্যাটলেটিকো। এটিকে কর্মফল হিসেবেই দেখছেন সুয়ারেজ।

শনিবার রাতে নতুন মৌসুমের লা লিগার ম্যাচে বার্সার মুখোমুখি হবে অ্যাটলেটিকো। সেই ম্যাচের আগে সুয়ারেজ বলেছেন, ‘আমি কর্মফলে বিশ্বাস করি। আমি ভুলিনি গত বছর প্রাক-মৌসুমে বার্সেলোনা আমাকে একা একা অনুশীলন করতে পাঠায়। যেনো আমি রেগে যাই। কিন্তু আমি তখন কোচের কথা মেনে পেশাদার আচরণ করেছি।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি তখন পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছি এবং কোনো কথা না বলে প্রতিদিন একইভাবে অনুশীলন করেছি। কারণ আমাকে এটাই করতে হতো। আমি এমনই এবং শেষমেশ ভাগ্যই সব নির্ধারণ করে দেবে।’

তবে টিম ম্যানেজম্যান্টের ওপর রাগ থাকলেও, বার্সেলোনা ক্লাবকে ভালোবাসের সুয়ারেজ। তাই শনিবার রাতে গোল করলেও কোনো উদযাপন করবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।

এসএএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।