বার্সেলোনায় ‘হাঁটুর সমস্যা’ প্রকট
একের পর এক ইনজুরিতে জর্জরিত স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা। বর্তমানে দলটির অন্তত ৭ জন খেলোয়াড় বিভিন্ন ইনজুরিতে রয়েছেন মাঠের বাইরে। তবে গত ৪ বছরে বার্সার খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা গিয়েছে হাঁটুর ইনজুরি।
যা অন্তত ১৮০৬ দিন মাঠের বাইরে রেখেছে ১৬ জন খেলোয়াড়কে। তারকা ডিফেন্ডার স্যামুয়েল আমতিতি, তরুণ ফরোয়ার্ড আনসু ফারি কিংবা পরীক্ষিত তারকা ফিলিপে কৌতিনহোর মতো খেলোয়াড়দেরও ভুগতে হয়েছে হাঁটুর ইনজুরিতে। যে কারণে লম্বা সময় মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে তাদের।
এবারের মৌসুমে বার্সেলোনার ঐতিহ্যবাহী দশ নম্বর জার্সি দেয়া হয়েছে ফাতিকে। কিন্তু হাঁটুর ইনজুরি কাটিয়ে এখনও মাঠেই ফিরতে পারেননি তিনি। অন্যদিকে মাত্র গত সপ্তাহেই মাঠে নেমেছেন কৌতিনহো। দলের জার্মান গোলরক্ষক মার্ক টের স্টেগানও মাস তিনেক আগে ভুগেছেন হাঁটুর ইনজুরিতে।
গত মৌসুমে হাঁটুর ইনজুরির কারণে শুরু থেকে খেলতে পারেননি টের স্টেগান। ইনজুরির অপারেশনের পর গত বছর ৭৮ দিন মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। সেই একই ইনজুরিতে চলতি বছর ১০৩ দিন মাঠের বাইরে কাটিয়েছেন এ জার্মান বাজপাখি।
আনসু ফাতি ও কৌতিনহোর ক্ষেত্রে ইনজুরির ধাক্কাটা আরও বড়। বাম পায়ের হাঁটুতে মেনিসকাস ইনজুরিতে ভুগে ৩১৪ দিন খেলতে পারেননি ফাতি। একইধরনের মেনিসকাস ইনজুরিতে পড়ে ২৪২ দিন মাঠের বাইরে ছিলেন কৌতিনহো।
দলের অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকে ডান হাঁটুর এন্টেরিয়য় ক্রুশিয়েট লিগামেন্টের ইনজুরিতে মাঠের বাইরে ছিলেন ৮৭ দিন। এরপর আবার সেই একই ডান হাঁটুর ইন্টারলান ল্যাটেরাল লিগামেন্টের চোটে ৩৭ দিন শেষ হয়ে গিয়েছিলো পিকের।
একই বছরে ক্লাবের তরুণ ডিফেন্ডার মুসা ওয়াগ হাঁটুর গুরুতর ইনজুরিতে পড়ে ২৭৬ দিনের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে যান।
এর আগে ২০১৯-২০ মৌসুমে আনসু ফাতি, সার্জি রবার্তো এবং জুনিয়র ফিরপোরা ভোগেন হাঁটুর ইনজুরিতে। তবে হাঁটুর ইনজুরিতে অপারেশন লেগেছিল লুইস সুয়ারেজের। তিনি ডান হাঁটুর এক্সটারনাল মেনিসকাস ইনজুরির কারণে ১৪৯ দিন মাঠের বাইরে ছিলেন।
সুয়ারেজের হাঁটুর সমস্যা ছিলো ২০১৮-১৯ মৌসুমেও। সেবার ৩০ দিন বাইরে ছিলেন তিনি। সেই মৌসুমে হাঁটুর দুইটি ইনজুরির কারণে ১৩২ দিন খেলতে পারেননি আমতিতি। একই সময় বাম হাঁটুর লিগামেন্টের ইনজুরিতে ২০৯ দিনের জন্য মাঠ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন রাফিনহা আলকান্তারা।
সূত্রঃ মার্কা
এসএএস/এমএস