৭-১ মনে করালো জার্মানি
জার্মানি ৭ : ১ ব্রাজিল। বেলো হরিজান্তের এস্তাদিও মিনেইরোর সেই দিনটির কথা কি মনে আছে? ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে সেদিন পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে তাদেরই মাঠে কাঁদিয়েছিল জার্মানি।
জার্মানির সেই চিরাচরিত নির্মম ফুটবলে এবার পিষ্ট হলো লাটভিয়া। স্কোরলাইন সেই ৭-১। ঘরের মাঠ এসপ্রিত এরেনায় সোমবার রাতে যেন ২০১৪ বিশ্বকাপের ম্যাচটিই ফিরিয়ে আনল জার্মানরা, প্রতিপক্ষ বদলে।
বিশ্বকাপ ম্যাচের সঙ্গে অবশ্য লাটভিয়া-জার্মানির এই লড়াইটি তুলনা দেয়ার সুযোগ নেই। কেননা এটি ছিল নেহায়েত এক প্রীতি ম্যাচ। তবে স্কোরলাইন ৭-১ আর বিজয়ী দলটি জার্মানি হওয়ায় ব্রাজিলের সেই মিনেইরো ট্রাজেডির কথাই মনে এসেছে বেশিরভাগ ফুটবলপ্রেমীর।
ইউরোর আগে এটি ছিল জার্মানির শেষ ম্যাচ প্র্যাকটিস। ৭ গোলের জয়ে দুর্দান্ত প্রস্তুতিই হলো জোয়াকিম লো'র শিষ্যদের।
তার চেয়ে বড় কথা এই জয়ে দলের সব তারকাকেই পরখ করে দেখতে পেরেছেন জোয়াকিম। ৭ গোল করেছেন আলাদা সাতজন।
ম্যাচে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে জার্মানি। ৭৫ ভাগ সময়ে বল তাদের দখলেই ছিল। শট নিয়েছে ২৪টি, যার মধ্যে ৯টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে লাটভিয়া মাত্র ৩টি শট নিতে পারে, যার মধ্যে একটি লক্ষ্যে ছিল এবং সেটিই হয়েছে গোল।
দাপট দেখিয়ে খেলা জার্মানি ম্যাচের ১৯ মিনিটে এগিয়ে যায় রবিন গোসেনসের গোলে। দুই মিনিট পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইলকেয় গুন্দোগান। এর ছয় মিনিটের মাথায় আরও এক গোল, ২৭তম মিনিটে গোলটি করেন থমাস মুলার।
লাটভিয়ার দুঃখ আরও বাড়ে ৩৯ মিনিটে রবার্ট অজলসের আত্মঘাতী গোলে। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে (৪৫ মিনিটে) ব্যবধান ৫-০ করেন সার্জে জিনাব্রি।
এরপর দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতে না হতেই টিমো ওয়ার্নারের গোল। ম্যাচের ৫০ মিনিট পেরোতেই ৬-০ গোলে এগিয়ে যায় জোয়াকিম লো'র দল।
৭৫ মিনিটে সান্ত্বনার এক গোল পায় লাটভিয়া। হতাশার মধ্যে দলকে একটু উদযাপনের উপলক্ষ্য এনে দেন সেভেলজেবস। কিন্তু সেই উদযাপন এক মিনিটের বেশি টেকেনি।
পরের মিনিটেই লেরয় সানে আরেক গোলে এগিয়ে দেন জার্মানিকে। শেষদিকে লাটভিয়া কোনোমতে তাদের রক্ষণ সামলে রেখেছে। না হয়, ৭-১ ব্যবধানটা আরও বড় হতে পারতো!
এমএমআর/এএএইচ