ডিফেন্সে বিশেষ মনোযোগ জেমি ডে’র
জিততে হলে গোল চাই- এই মন্ত্র নিয়ে অনুশীলনের শুরু থেকে আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের ভূমিকা কেমন হবে, সে বিষয়েই বেশি কাজ করেছেন জাতীয় দলের কোচ জেমি ডে। তবে বুধবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জেমি ডে’কে দেখা গেলো রক্ষণ নিয়ে কাজ করতে।
অনুশীলনের পর ডিফেন্ডার রহমত মিয়ে মুখোমুখি হয়েছিলেন গণমাধ্যমের। তিনি বলেছেন, ‘অনেক দিন আক্রমণ নিয়ে কাজ হয়েছে। আজকে কোচ কাজ করেছেন আমাদের ডিফেন্ডিং কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে। বিশেষ করে কর্নার কিক, থ্রো-ইন এবং আমরা যখন বল মিস করব, তখন আমাদের পদক্ষেপটা কী হওয়া উচিত।’
প্রস্তুতি সম্পর্কে রহমত মিয়ার বক্তব্য, ‘এটা যে দল যেভাবে পেরেছে, সেভাবে করেছে। আমরা চেয়েছিলাম সৌদি আরব গিয়ে যদি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে। পারলে সেটা দলের জন্য অনেক ভালো হতো। কারণ শুধু প্রাকটিস করে যদি কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচ খেলতে নামা হয়, ভুল থাকলে ঐসময় দেখা যাবে। আর কোনো প্রাকটিস ম্যাচ খেলতে পারলে সেটা আগেই চিহ্নিত করা যাবে। আমরা বুঝতে পারব কী করা উচিত বা কী করলে ভালো হবে। তাই মনে করি, কিছু ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলা উচিত ছিল।’
বৃহস্পতিবার শেখ জামালের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে জাতীয় দল। এ ম্যাচ নিযে রহমত মিয়া বলেন, ‘ফ্রেন্ডলি ম্যাচ ফ্রেন্ডলি ম্যাচই। এখানে প্রতিপক্ষ কারা, কত ভালো না খারাপ সেটা বিষয় না। বড় কথা হলো আমরা কিভাবে ভুলগুলো চিহ্নিত করব এবং তা শোধরাতে পারব।’
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের তিন প্রতিপক্ষই বাংলাদেশের চেয়ে শক্তিতে এগিয়ে। এ অবস্থায় তিন ম্যাচেই বড় পরীক্ষার মধ্যে পড়তে হতে পারে ডিফেন্ডারদের।
এ প্রসঙ্গে দেশের অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার রহমত মিয়া বলেছেন, ‘প্রত্যেকটা টুর্নামেন্ট বা খেলার আগে একটা প্রতিকূলতা কাজ করে দলের মধ্যে। যত প্রতিকূলতাই আসুক না কেন, খেলোয়াড় হিসেবে আমাদের একটা ফোকাস থাকে যে, আমরা ক্লিন শিট রাখার চেষ্টা করব বা গোল যত কম খাওয়া যায় এবং জিততে পারি আমাদের জন্য বেটার। খেলোয়াড় হিসেবে আমাদের সবাইকে নিজেদের এগুলো ঠিক করতে হবে।’
আরআই/এসএএস/এমকেএইচ