অনেক দিন পর জাতীয় দলে সেনা সদস্য

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৮:৫৩ পিএম, ১৩ মার্চ ২০২১

স্বাধীনতার পর ঘরোয়া ফুটবল লিগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অনেক সদস্য খেলতেন। চাকরিরত অবস্থায় জাতীয় দলের জার্সিও গায়ে জড়িয়েছেন কেউ কেউ। মাঝে এ সুযোগ বন্ধ ছিল সেনা সদস্যদের জন্য। তাইতো জাতীয় দলে খেলতে চাকরি ছেড়েছেন নাসিরউদ্দিন চৌধুরী ও আশরাফুল ইসলাম রানা।

তবে এখন সেই সুযোগ আবার উম্মুক্ত। অনুমতি নিয়ে ঘরোয়া ফুটবলে খেলতে পারেন সেনা সদস্যরা। লিগ খেলার সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে জাতীয় দলের প্রাথমিক ক্যাম্পে স্থান করে নিয়েছেন মেহেদী হাসান।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের এই ডিফেন্ডারের ডাক নাম মিঠু। ২৫ বছর বয়সী এই যুবক এখন লাল-সবুজ জার্সি পড়ার অপেক্ষায়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে চাকরিরত কুড়িগ্রামের মেহেদীর প্রত্যাশা জেমি ডে’র একাদশে সুযোগ করে নেয়ার।

জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক তারকা গোলরক্ষক আমিনুল হক বলেছেন, ‘এখন আর্মির সদস্যরা লিগে খেলার অনুমতি পাচ্ছেন এবং জাতীয় দলে খেলছেন, এটা খুবই ভালো খবর। দেশের জন্য যারা ভালো পারফরমার, তাদেরই খেলা উচিত। তিনি যেখানেই চাকরি করুন। এক সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ফুটবল দল অনেক ভালো ছিল। আমার মনে আছে, ২০০০ সাল থেকে ২০০৫-০৬ পর্যন্ত জাতীয় দল সেনাবাহিনীর বিপক্ষে প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলতো। খুব ভালো ম্যাচও হতো।’

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা শহরের বজলার রহমানের দুই সন্তানের মধ্যে বড় মেহেদী হাসান মিঠু। শহরেই দর্জির ব্যবসা করেন মেহেদীর বাবা। একমাত্র বোনের বিয়ে হয়েছে। বাবা ও মাকে নিয়ে এখন সংসার তাদের।

২০১২ সালে দ্বিতীয় বিভাগের দল কারওয়ান বাজার প্রগতি সংঘের জার্সিতে ঢাকার ফুটবলে অভিষেক মেহেদীর। পরের বছর যোগ দেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে। ২০১৮ সালে আন্তঃবাহিনী ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন মেহেদীরা। ওই বছর চট্টগ্রাম আবাহনীতে খেলার মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে অভিষেক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ সদস্যের।

৫ ফুটবল ১০ ইঞ্চি উচ্চতার ২৫ বছরের এই যুবক চলমান মৌসুমে মুক্তিযোদ্ধার জার্সিতে নজর কেড়েছেন কোচ জেমি ডে’র। জেলা দলের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৪ ও অনূর্ধ্ব-১৬ খেললেও জাতীয় দলে প্রথমবার ডাক পেয়েছেন মেহেদী।

‘আগে চাকরি ছেড়ে লিগে খেলতে হতো। এখন নিয়ম বদলিয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অনুমতি নিয়ে লিগ খেলা যায়। আমি সেভাবে খেলছি। কোচ যদি নেপাল ট্যুরের জন্য চূড়ান্ত করেন, তাহলে বিদেশ সফরের জন্য প্রতিষ্ঠানের আলাদা অনুমতি লাগবে। সেটা বাফুফের মাধ্যমে। আমার এখন একটাই লক্ষ্য, খেলার সুযোগ পেলে জাতীয় দলে টিকে থাকার চেষ্টা করা’-বলেছেন মেহেদী হাসান মিঠু।

আরআই/এমএমআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।